দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলীয় দ্বীপজেলা ভোলা ও নোয়াখালীর হাতিয়ার সঙ্গে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় চালু হয়েছে বিলাসবহুল দুটি অত্যাধুনিক জাহাজ এমভি বারো আউলিয়া ও এমভি কর্ণফুলী এক্সপ্রেস।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) থেকে এ অত্যাধুনিক জাহাজ দুটি চালু হয়।
জাহাজগুলো প্রতিদিন ভোলার চরফ্যাসন, মনপুরা, ঢালচর ও নোয়াখালীর হাতিয়া হয়ে চট্টগ্রাম সদরঘাটে ভিড়বে। এই রুটে প্রতিদিন চলাচল করবে দুটি জাহাজ। একটি জাহাজ চট্টগ্রাম সদরঘাট থেকে যাত্রী নিয়ে সকাল ৮টায় ছেড়ে সন্দ্বীপ ও হাতিয়া হয়ে ভোলার চরফ্যাসনে পৌঁছবে। একই সময়ে অন্য জাহাজটি ভোলার চরফ্যাসন বেতুয়া ঘাট থেকে যাত্রী নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছাড়বে।
বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন বারো আউলিয়া জাহাজের ম্যানেজার সাইফুল ইসলাম।
বছর দেড়েক আগে এই রুটে জাহাজগুলো মাসখানেক চলাচল করেছিল। কিন্তু আওয়ামী সরকারের সময়ে অভ্যন্তরীণ নৌরুটের অসাধু দলীয় লঞ্চ মালিকরা নিজেদের স্বার্থে সিন্ডিকেট করে এই কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। অবশেষে নৌ উপদেষ্টার হস্তক্ষেপে আবার ভোলা-নোয়াখালী-চট্টগ্রাম রুটে এ যাত্রীবাহী জাহাজ চালু হলো।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মনপুরা থেকে লালমোহনের মঙ্গল শিকদার ঘাট হয়ে চরফ্যাসনের বেতুয়া লঞ্চঘাটে যাত্রাবিরতি দেবে জাহাজ এমভি বারো আউলিয়া ও কর্ণফুলী। বিআইডব্লিউটিসির ভোলা অঞ্চলের ম্যানেজার (মেরিন) আল-আমিন জানান, বারো আউলিয়া অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য ও দ্রুতগতিসম্পন্ন নৌযান, যা উপকূলবাসীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে।
অন্যদিকে কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ব্যক্তিমালিকানাধীন হিসেবে বিআইডব্লিউটিসির সঙ্গে সমন্বয় করে চলাচল করবে।
মন্তব্য করুন