বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম রিংকু বলেছেন, যতটুকু সংস্কার প্রয়োজন তা অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে করে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। সংস্কারের নামে যারা নির্বাচন দিতে কালক্ষেপণ করতে চায়, তারা কেউ দেশের ভালো চায় না। তারা দেশের শত্রু, তারা গণতন্ত্রের শত্রু।
শুক্রবার (২১ মার্চ) বিকেলে ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার এম এন একাডেমি স্কুল মাঠে নগরকান্দা উপজেলা বিএনপির আয়োজনে বিএনপির সাবেক মহাসচিব, সাবেক মন্ত্রী কে এম ওবায়দুর রহমানের ১৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক স্মরণসভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শামা ওবায়েদ বলেন, একটি সুষ্ঠু নির্বাচন, একজন মানুষের ভোট দেওয়ার অধিকার ও মৌলিক অধিকার। এই সংস্কারের অংশকে শেখ হাসিনা ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। এখন সংস্কারের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের যে প্রধান মৌলিক অধিকার- মানুষের ভোট দেওয়ার অধিকার সেটি প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। তাহলেই আমরা একটি দুর্নীতিমুক্ত সংসদ পাব। আর সেই সংসদ সদস্যরা সংসদে গিয়ে বাংলাদেশের মানুষের জন্য কথা বলবে, দেশের জন্য কথা বলবে।
তিনি বলেন, আমার বাবা মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ছিলেন, মুক্তিযুদ্ধের জন্য কাজ করেছেন, গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছেন। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন করেছেন। তিনি কোনো দল-মত গোত্র দেখেননি, কাজ করে গেছেন সবার জন্য।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ ও হাসিনা অনেক অত্যাচার করেছে। বেগম খালেদা জিয়াকে দীর্ঘদিন মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে রেখেছে, তারেক রহমানকে দেশছাড়া করেছে। আমার বাবা একজন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ছিলেন। তাকে জেল হত্যার মতো একটি জঘন্য মামলায় জেলে পাঠিয়েছিল শেখ হাসিনা। দিনের পর দিন জেল হত্যা মামলায় আমার বাবা জেল খেটেছে অসুস্থ হয়েছে। সেই জেলে থেকেই আমারা বাবা কেএম ওবায়দুর রহমান সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে জয়লাভ করে জেল থেকে বের হয়েছিলেন।
অন্তর্বর্তী সরকারকে আহ্বান জানিয়ে শামা বলেন, আপনারা এ দেশের একটি ক্রান্তিকালে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের আপনাদের ওপর ভরসা রয়েছে। আমরাসহ সবাই চাই, আপনারা সফল হন। কিন্তু আপনাদের সফলতা তখনই হবে, যখন আপনারা সংস্কার প্রক্রিয়ার সঙ্গে সঙ্গে একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন।
নগরকান্দা উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বাবুল তালুকদারের সভাপতিত্বে এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেস আলী ইছা, যুগ্ম আহ্বায়ক আফজাল হোসেন খান পলাশ, সৈয়দ জুলফিকার হোসেন জুয়েল, খন্দকার ফজলুল হক টুলু, জেলা যুবদলের সভাপতি রাজিব হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ।
পরে মহুরমের রুহের মাগফিরাত কামনা, দেশ ও জাতির কল্যাণ এবং সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া করা হয়।
মন্তব্য করুন