নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় একটি ফোনকলের সূত্র ধরে অপহরণের ১৩ দিনের মাথায় কিশোরীকে ফিরে পেয়েছে পরিবার। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মোসলেম উদ্দিন নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) দুপুরে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ওই কিশোরী বাড়িতে আসে। প্রথমে কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য নেত্রকোণা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত মোসলেম উদ্দিন কেন্দুয়া উপজেলার গন্ডা ইউনিয়নের মরিচপুর গ্রামের বাসিন্দা।
কেন্দুয়া থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, গত ৭ মার্চ কেন্দুয়া সদর থেকে রোয়াইলবাড়ি-আমতলা ইউনিয়নে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার পথে অপহরণের শিকার হয় ১১ বছর বয়সী এক কিশোরী। পরিবারের সদস্যরা সম্ভাব্য জায়গাগুলোতে খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। গত ১৮ মার্চ ওই কিশোরীর বড় বোনের মোবাইল ফোনে একটি কল আসে। অপরপ্রান্ত থেকে কিশোরীটির ওপর নির্যাতন হচ্ছে এমন তথ্য জানানো হয়। পরে ওই কিশোরীর বাবা বিষয়টি পুলিশকে জানান এবং থানায় অপহরণের মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ ওই ফোনকলের সূত্র ধরে গত বুধবার উপজেলার গন্ডা ইউনিয়নের মরিচপুর গ্রামের বাসিন্দা মোসলেম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই কিশোরীকে ছেড়ে দিলে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় একা বাড়িতে যায়। ফেরার পরপরই চিকিৎসার জন্য দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে তাকে পুলিশ পাহারায় নেত্রকোনা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ওসি মিজানুর রহমান আরও জানান, মেয়েটি খুবই অসুস্থ। এ অবস্থায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা সম্ভব হয়নি। ডাক্তারি রিপোর্টে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেলে মামলায় বিষয়টি যুক্ত করা হবে বলে জানান তিনি। গ্রেপ্তার মোসলেম উদ্দিনকে বিকেলে নেত্রকোনা আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন