অপহরণের ৩৪ দিন পর ঢাকা আশুলিয়ার জামগড়া এলাকা থেকে এক কিশোরীকে উদ্ধার করেছে আশুলিয়া থানা পুলিশ। অভিযোগ উঠেছে ওই কিশোরীকে ৩৪ দিন আটকে রেখে ধর্ষণ করেছে অপহরণকারী।
এ ঘটনায় মামলা দায়ের হলে অভিযুক্ত যুবক মোফাজ্জল হোসেন ওরফে শাকিলকে (৩৮) জামগরা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে আশুলিয়া থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) রাত ৮টার পর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল রানা তালুকদার।
গ্রেপ্তার মো. মোফাজ্জল হোসেন শাকিল ময়মনসিংহ জেলার তারাকান্দা থানার চরকৃষ্ণপুর এলাকার আব্দুল গফুরের ছেলে। তিনি বর্তমানে আশুলিয়ার জামগড়া বটতলা ডিশ অফিস সংলগ্ন রাশেদের মালিকানাধীন বাড়ির ভাড়াটিয়া।
পুলিশ জানায়, গত ১২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৬টার দিকে আশুলিয়ার জামগড়া বাঁশতলার ভাড়াবাসা থেকে জরুরি কাজে বাইরে গেলে ওই কিশোরীকে অপহরণ করা হয়। এলাকায় দীর্ঘ সময় খোঁজাখুঁজির পর এবং আত্মীয়-স্বজনের বাসায় খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পায়নি পরিবার।
পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দীর্ঘ ৩৪ দিন পর গত ১৮ মার্চ রাত ৮টার দিকে জামগড়া বটতলা ডিশ অফিস সংলগ্ন রাশেদের মালিকানাধীন বাড়ির একটি কক্ষে অভিযুক্ত মোফাজ্জলের সাথে ওই কিশোরীকে দেখতে পায় তার বোন। এসময় কিশোরীর বোনকে ধাক্কা দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত মোফাজ্জল হোসেন শাকিল।
ভুক্তভোগী কিশোরী এই প্রতিবেদককে জানায়, তাকে কৌশলে অপহরণ করে একটি বাসায় নিয়ে আটক রাখে মোফাজ্জল। পরবর্তীতে বিভিন্ন দিন তারিখ সময়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়। শারীরিক সম্পর্ক করতে অপারগতা প্রকাশ করলেই বেধড়ক মারধর করাসহ তার পরিবারের লোকজনদের হত্যা করবে বলে হুমকি প্রদান করে।
আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল রানা তালুকদার বলেন, উদ্ধারের পর কিশোরীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরীর বোন বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করলে অভিযুক্ত মোফাজ্জল হোসেন শাকিলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মন্তব্য করুন