সাবেক উপদেষ্টা এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের উপস্থিতিতে দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) বরিশাল ক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এনসিপির এক মতবিনিময় সভা শেষে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, পটুয়াখালী ও দুমকির কর্মসূচি শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ বরিশালে এসে পৌঁছান নাহিদ। প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী প্রোগ্রাম চলার একপর্যায়ে সভাস্থলে প্রবেশ করেন শিক্ষার্থীদের একটি গ্রুপ। তারা নাহিদ ইসলামের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলা এবং বৈঠকের দাবি জানান।
তাৎক্ষণিক উপস্থিত অন্যরা তাদেরকে শান্ত করলেও কর্মসূচি শেষে নাহিদ ইসলাম চলে যাওয়ার উদ্যোগ নিলে তারা তাকে ঘিরে ধরেন। এরপর আবার তাকে নিয়ে যাওয়া হয় সভাকক্ষে।
এ সময় মিলনায়তনে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের দুটি পক্ষ। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে ধাক্কা-ধাক্কি হাতাহাতিও হয়। বর্তমানে বরিশালে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা নেতাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তোলা হয়। বর্তমান নেতৃত্বের বিরুদ্ধে কথা বলতে চাইলে বাঁধা দেওয়া এবং মেয়েদের সঙ্গে অশোভন আচরণের অভিযোগও করা এ সময়।
প্রায় ৩০/৪০ মিনিট ধরে এমন পরিস্থিতি চলার পর আবারও সভাস্থল ত্যাগ করার চেষ্টা করেন নাহিদ। এ সময় ভুয়া ভুয়া বলে স্লোগান তোলার পাশাপাশি তার গাড়ি আটকে দেয় বিক্ষুদ্ধরা। পরে বহু কষ্টে বাঁধা এড়িয়ে নাহিদ ইসলামকে গাড়িতে তুলে ঢাকার উদ্দেশে রওনা করিয়ে দেন এনসিপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
ঘটনা সর্ম্পকে জানতে চাইলে এনসিপির কর্মীরা বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ঘাপটি মেরে থাকা ফ্যাসিস্টের দোসররা আমাদের কর্মসূচিকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে আজকের এই ঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা তাদেরকে চিহ্নিত করে রেখেছি। পরিকল্পনা করেই তারা আজ এখানে এসেছিল।’
কর্মসূচিতে নাহিদ ইসলামের সঙ্গে ছিলেন এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুল হান্নান মাসুদ, ডা. তাসনিম জারা, আরিফুর রহমান আদীব এবং ডা. মাহমুদ আলম মিতুসহ অন্যান্য নেতারা।
মন্তব্য করুন