অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে মাদারীপুর গণপূর্ত বিভাগে অভিযান চালিয়েছে মাদারীপুর দুদক। সমন্বিত সরকারি অফিসের ১০ তলা ভবন নির্মাণকাজ, পুলিশ লাইন্সের দেয়াল নির্মাণকাজ ও খোদ মাদারীপুর গণপূর্ত অফিসের মূল গেট নির্মাণেও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে দুদকের কাছে।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় গণপূর্ত অফিসে দুর্নীতি দমন কমিশনের নির্দেশে মাদারীপুর দুদকের একটি দল অভিযান শুরু করে।
নির্বাহী প্রকৌশলীকেসহ অফিসের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলেন দুদক কর্মকর্তারা। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট কাজের নথিও যাচাইবাছাই করার জন্য জব্দ করেছে দুদক।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, অতিরিক্ত ব্যয়ে মাদারীপুর সরকারি সমন্বিত ১০ তলা ভবন নির্মাণের অভিযোগ পায় দুদক। এ ছাড়া ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতাল নির্মাণ ও মালপত্র ক্রয়ে ব্যাপক অভিযোগ ওঠে। প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশে গণপূর্ত অধিদপ্তরের মাদারীপুরের অফিসে এই অভিযান চালানো হয়।
পাশাপাশি বেশ কয়েকটি সরকারি ভবনে বার্ষিক মেরামত না করে অতিরিক্ত বিল উত্তোলন করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন। এমন কি গণপূর্ত অধিদপ্তরের কর্মরত ব্যক্তিরা নিজেদের ঘনিষ্ঠজনদের নামে লাইসেন্স ব্যবহার করে এই দপ্তরের কাজ বাস্তবায়ন করে বিল তুলে নেয়।
এই অনিয়মের সরাসরি জড়িত ছিলেন সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কামরুল ইসলাম খান, তৎকালীন উপবিভাগীয় প্রকৌশলী শাহরিয়ার হোসেন (বর্তমানে মাদারীপুরে নির্বাহী প্রকৌশলীর দায়িত্বে)। বিশেষ সুবিধা দিতে ঠিকাদারদের সঙ্গে জোগসাজশে কোটি কোটি ঘুষ গ্রহণ করেছেন এই দুই কর্মকর্তা। তাদের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করা হচ্ছে।
দুদকের মাদারীপুর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আক্তারুজ্জামান কালবেলাকে জানান, গণপূর্ত অধিদপ্তরে একাধিক অভিযোগে এই অভিযান চালানো হয়। অভিযানে মাদারীপুর দুদকের অফিসের ৭ সদস্যের টিম কাজ করে। অভিযোগের মধ্যে রয়েছে বহুতল ভবন নির্মাণে অনিয়ম, কাজ না করে অতিরিক্ত বিল উত্তোলন, বেশ কয়েকটি গেট নিম্নমানের মালপত্র দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়া সরকারি সমন্বিত ১০ তলা ভবন ও ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতাল নির্মাণে অনিয়ম ও নিম্নমানের মালপত্র সরবরাহ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এসব অভিযোগ যাছাইবাছাই করা হচ্ছে। তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন