কুমিল্লার চান্দিনায় এনজিওর নারী কর্মীকে যৌন নির্যাতনের পর গত তিন দিনেও পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি। পুলিশ বলছে, ঘটনার পর থেকে আসামিরা পলাতক থাকায় কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে চান্দিনা থানার সামনে ও তুলাতুলী গ্রামে আসামিদের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ করেছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা।
গত সোমবার (১৭ মার্চ) রাতে আইডিএফ নামে একটি এনজিওর দুই কর্মীকে আটকে রাখে সংঘবদ্ধ বখাটে দল। পুরুষ কর্মীকে আটকে নারী কর্মীকে নগ্ন করে যৌন নির্যাতন করে তারা।
পরে নগ্ন ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে তারা। বিকাশের মাধ্যমে তারা ২০ হাজার টাকা নেয়। এ ছাড়া তাদের কাছ থেকে কিস্তির আদায় করা ১৪ হাজার টাকা, ব্যক্তিগত টাকা ও স্বর্ণের কানের দুল, মোবাইল ফোন লুটে নেয়।
ওই ঘটনায় চান্দিনার তুলাতলী গ্রামের মোখলেছুর রহমানের ছেলে স্বপন মিয়া ওরফে চোরা স্বপন, একই গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে মো. শাওন, মজিবুর রহমানের ছেলে মো. আনসার ও একই গ্রামের রবিউলকে আসামি করে চান্দিনা থানায় মামলা করা হয়েছে।
চান্দিনা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শাহীনুল ইসলাম কালবেলাকে জানান, ঘটনার পর থেকে আসামিরা পলাতক রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশে কর্মরত তিন শতাধিক এনজিও, যুব ও মানবাধিকার সংগঠন, সামাজিক উদ্যোক্তা ও গবেষকদের ঐক্যজোট সিভিল সোসাইটি অর্গানাইজেশন (সিএসও) অ্যালায়েন্স। বুধবার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করে তারা।
বিবৃতিতে দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, ভুক্তভোগীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন