সাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২০ মার্চ ২০২৫, ০২:৪৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

আমের সোনালি মুকুলে মৌমাছির গুঞ্জন

আমের মুকুলে ভরে গেছে গাছ। ছবি : কালবেলা
আমের মুকুলে ভরে গেছে গাছ। ছবি : কালবেলা

হলুদের রাজ্যে রাজত্ব করা মৌমাছি এবার আমের মুকুলে গুঞ্জন শুরু করেছে। শীতের প্রকৃতিতে বইছে মাঘ মাস। শুরু হয়েছে আগাম আম গাছে সোনালি মুকুল আসা। আম গাছে থেকেও আসছে আমের মুকুলের মৌ মৌ মিষ্টি সুবাতাস। আমের মুকুলের শাখা প্রশাখায় মনের আনন্দে মৌমাছিরা ছুটছে মুকুলে মুকুলে। মধু আহরণে ছুটে আসা মৌমাছির গুঞ্জনে আলাদা এক আবহ তৈরি হয়েছে বসতবাড়ির শখের আমগাছেও।

সাটুরিয়া উপজেলা কৃষি বিভাগের মতে, আগাম জাত ও আবহাওয়াজনিত বেশির ভাগ আম গাছে মুকুল এসেছে। বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আমের ভালো ফলন পাওয়া যাবে।

বাম্পার ফলনের আশায় বসতবাড়িতে আম চাষিরা আম গাছ পরিচর্যায় করছেন। অবশ্য গাছে মুকুল আসার আগে থেকেই গাছের পরিচর্যা করে আসছেন তারা। যাতে করে গাছে মুকুল বা গুটি বাঁধার সময় কোনো সমস্যার সৃষ্টি না হয়। ছত্রাকজনিত কারণে মুকুল ঝরে না যায় সে জন্যও পরামর্শ দিচ্ছেন উপজেলা কৃষি বিভাগ।

এ উপজেলা আম্রপালি, হাঁড়িভাঙা, বারি আম-৪, আশিনী, হিমসাগর, ফজলী ও স্থানীয় জাতের চারা চাষিরা নিজ উদ্যোগে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে সংগ্রহ করে বসতবাড়িতে ও আশপাশের জমিতে নিজেরাই চারা উৎপাদন করে তাদের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

বরাইদ ইউনিয়নের সাভার এলাকার শাকিল হোসেন নামে এক আম চাষি বলেন, প্রতিবছরই আমাদের গাছে আগাম মুকুল আসে। গাছ বড় হওয়ায় কোনো কোনো বছর গাছেই মৌমাছি বাসা বাঁধে। আমের মুকুলের মধু গাছের মৌচাকেই সংরক্ষণ করে। অপরদিকে সহজেই পরাগায়ন হওয়ায় আমে ভরে যায় পুরো গাছ। পাকা আম খেতেও সুস্বাদু।

বালিয়াটি ইউনিয়নের খলিলাবাদ গ্রামের পাখি বলেন, সাটুরিয়ায় ১০ বছর আগেও শুধু দেশীয় জাতের আম গাছ ছিল। সে গাছ ছিল অনেক বড় আকারে। আমরা সাধারণত মকুল আসার পর স্প্রে করতাম। আর এখন সাটুরিয়া উপজেলায় দেশীয় জাতের পাশাপাশি আম্রপালি, হাঁড়িভাঙা, বারি আম-৪, আশিনী, হিমসাগর, ফজলী জাতের অনেক ছোট ছোট বাগান হয়েছে। আমের মৌসুমে দেশীয় জাতের আমের সঙ্গে সঙ্গে এসব সুস্বাদু আমারও সাটুরিয়ার হাট বাজারে দেখা যাবে।

এ বিষয়ে সাটুরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে আমবাগান নেই। বসতবাড়ির আশপাশে লাগানো ১০ থেকে ১২ হেক্টর জমিতে আমগাছ লাগানো আছে। আমের ফুল ফোটার আগে ৪ থেকে ৬ ইঞ্চি মুকুলে ছত্রাক নাশক স্প্রে করতে হয় এবং গাছের গোড়ায় পানি দিতে হবে। এমন ফলন টিকে গেলে তারা বেশ লাভবান হতে পারে বলেও জানান তিনি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ইসরায়েলি সেনাদের ওপর বনবিড়ালের আক্রমণ

পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরোক্ষ সংলাপে রাজি ইরান

বকেয়া বেতনের দাবিতে সড়ক অবরোধ

সাত বিশিষ্টজনকে ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

মনুমেন্টালে আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল মহারণ, অপেক্ষার প্রহর গুনছে ফুটবল বিশ্ব

বাংলাদেশে এখনো ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা যায়নি : প্রধান উপদেষ্টা

বাড়তে পারে তাপমাত্রা

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ নিয়ে প্রশ্ন

শপথ নিলেন আপিল বিভাগে নিয়োগ পাওয়া দুই বিচারপতি

সুপার ক্লাসিকোর আগে রাফিনিয়ার মন্তব্যের জবাব দিলেন স্কালোনি

১০

আগুনে পুড়ল ঝুটের ৩ গুদাম

১১

কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

১২

মৃত্যুর আগে আলজাজিরার সাংবাদিকের আবেগঘন বার্তা

১৩

ভিসির নাম-ছবি ব্যবহার করে ভুয়া হোয়াটসঅ্যাপ আইডি

১৪

জয় চায় ‘শক্তিশালী’ বাংলাদেশ

১৫

ঈদ উপলক্ষে সেনাবাহিনী-বিজিবি-পুলিশ ও র‍্যাবের টহল বৃদ্ধিসহ ১৫ নির্দেশনা

১৬

তামিম ইকবালের শারীরিক অবস্থার সর্বশেষ আপডেট

১৭

ঈদযাত্রায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ডাকাতি ছিনতাই আতঙ্ক

১৮

ইসরায়েলি হামলায় আলজাজিরারসহ ২ সাংবাদিক নিহত

১৯

বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডে বড় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি

২০
X