জুলাই আন্দোলনে ঢাকায় পুলিশের গুলিতে শহীদ হওয়া পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার এক ব্যক্তির মেয়েকে (১৭) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যার পর পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার পাঙ্গাসিয়া ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তার মূল অভিযুক্ত সাকিব মুন্সী ওই এলাকায় মামুন মুন্সির ছেলে। দুমকি থানার ওসি মো. জাকির হোসেন কালবেলাকে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, ভিকটিম কলেজ শিক্ষার্থী নিজে বাদী হয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দুমকি থানায় মামলা করেছেন।
মামলা ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী কলেজ শিক্ষার্থী নিজ বাড়ি থেকে নানার বাড়িতে যাচ্ছিলেন। সে সময় একই গ্রামের মামুন মুন্সির বখাটে ছেলে সাকিব মুন্সী (১৯), সোহাগ মুন্সির ছেলে সিফাত মুন্সী (২০) ও মালেক মুন্সীর ছেলে ইমরান মুন্সী (১৯) জোরপূর্বক তুলে নিয়ে পার্শ্ববর্তী জলিল মুন্সির নির্জন বাগানে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পাশাপাশি মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে রাখে। ভিকটিমের ডাক চিৎকার দিলেও নির্জন এলাকা হওয়ায় কারো সাড়া পায়নি। এ ঘটনা কাউকে বললে ভিডিও ও ছবি ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তারা চলে যায়।
ঘটনার পর ভুক্তভোগী থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ দ্রুত অভিযান চালিয়ে মূল অভিযুক্ত সাকিব মুন্সিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করেছে।
অপরদিকে ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
দুমকি থানার ওসি মো. জাকির হোসেন বলেন, ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও আসামি সাকিব মুন্সীকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
মন্তব্য করুন