আধিপত্য বিস্তার নিয়ে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের চনপাড়ায় যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের দুপক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসিব নামের এক যুবদল কর্মী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের ৪০ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার (১৯ মার্চ) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্র এলাকায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। নিহত যুবদলের কর্মী হাসিব চনপাড়া এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, এলাকায় মাদক কারবারি, চাঁদাবাজির আধিপত্য বিস্তার নিয়ে যুবদলের শামীম ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা রব্বানীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে বুধবার সকালে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় উভয় পক্ষই গুলি চালায়। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে যুবদলের কর্মী হাসিব নিহত হন৷ এ সময় উভয় পক্ষের আরও ৪০ জন আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে গুলিবিদ্ধদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় চনপাড়া এলাকাজুড়ে ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।
নিহতের বড় ভাই যুবদল কর্মী বাবু বলেন, গত মঙ্গলবার রাতে মাদক কারবারি রবিনকে এলাকার কয়েকজন আটক করে। এ সময় কায়েতপাড়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী রব্বানী ও তার লোকজন এসে তাকে ছাড়িয়ে নেয়। পরে তারা তাদের লোকজন নিয়ে সকালে আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমার ছোট ভাই হাসিব গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। আমার ভাই হত্যার বিচার চাই।
রূপগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শামীম বলেন, আমি এলাকায় নেই, শুনেছি রবীন নামের এক মাদক কারবারিকে আটক করা নিয়ে কায়েতপাড়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী রব্বানীর লোকজন আমার যুবদল কর্মী হাসিবকে গুলিবর্ষণ করে। সে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এ ঘটনায় তার পরিবার আইনি ব্যবস্থা নিবে।
রূপগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম বলেন, দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা শুনেছি। রব্বানী আমার সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবক দল করে। এ ব্যাপারে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নারায়ণগঞ্জ (গ) সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মেহেদী হাসান বলেন, চনপাড়া এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা শুনে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে ওই এলাকায় আমাদের অভিযান চলছে। দোষী ব্যক্তি যেই হোক না কেন, কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
মন্তব্য করুন