চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণে আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে আলুর দাম নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন অধিকাংশ কৃষক। এদিকে আলু সংরক্ষণের জন্য হিমাগারে জায়গা নেই বলে ব্যাপারীদের জানিয়েছে হিমাগার কর্তৃপক্ষ।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর উপজেলার ১৯টি ব্লকে আলু চাষে দুই হাজার ১৭৫ হেক্টর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চাষ হয়েছে ২ হাজার ৪৭৫ হেক্টর জমিতে। এতে গড় উৎপাদন হয়েছে প্রায় ৬৮ হাজার টন। কৃষকরা দিনরাত আলু ঘরে তুলতে কাজ করে যাচ্ছে। চলতি রমজান ও আসন্ন ঈদুল ফিতরের জন্য আয়-রোজগার করার লক্ষ্যে রাত-বিরাত আলুভর্তি ট্রাক, মিনি ট্রাক, পিকাপ ও অটো দিয়ে পরিবহন করে হিমাগারে নিয়ে যাচ্ছেন।
উপজেলার আশ্বিনপুর, খরগপুর, পাঠন, পিতামবর্দ্দি, আধারা, খিদিরপুর, কাজিয়ারা, নায়েরগাঁও এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কৃষকরা এখনও মাঠ থেকে আলু বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন। এতে কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক দেখা গেলেও, দাম নিয়ে রয়েছেন ব্যাপক দুশ্চিন্তায়। এছাড়াও উপজেলার তিনটি হিমাগারের মধ্যে বর্তমানে দুটি চালু থাকায় আলু সংরক্ষণ করা নিয়ে বিপাকে কৃষকরা।
মার্শাল কোল্ড স্টোরেজ এর ম্যানেজার জিয়াউর রহমান বলেন, আমাদের এই হিমাগারের ধারণক্ষমতা ১০ হাজার টন এবং নায়েরগাঁয়ের ধারন ক্ষমতা আমাদের মতোই। হিমাগার ভরপুর হয়ে যাওয়ার কারনে আলু রাখা যাবে না বলে কৃষক ও বেপারীদের জানানো হয়েছে।
মতলব দক্ষিণ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা চৈতন্য পাল বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় পোকামাকড় আক্রমণ না করায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আলুর উৎপাদন ভালো হয়েছে।
মন্তব্য করুন