চাঁদপুরের হাইমচরে রাতের আধারে আলো নিভিয়ে ৩-৪শ জনের একদল দুষ্কৃতকারী আধিপত্য বিস্তারকে ঘিরে অসহায় লোকজনের দোকান পাটে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে। এ ঘটনায় ভয়ে এখন পর্যন্ত কেউই থানায় অভিযোগ করেনি।
রোববার (১৬ মার্চ) রাতে হাইমচরের বাংলা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
বাজারের ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধা চায়ের দোকানি নেছার আহমেদ বলেন, আমি একজন চা বিক্রেতা এবং এটিই আমার সংসারের আয়ের উৎস। আমি কোনো রাজনৈতিক দল বা সংগঠনের সঙ্গে কখনোই যুক্ত ছিলাম না। আমার কারো সঙ্গে কোনো শত্রুতা নেই। তবুও রাতের আঁধারে বাজারের বৈদ্যুতিক আলো নিভিয়ে একদল দুষ্কৃতকারী দোকানে হামলা ভাঙচুর করে সব মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। আমি এখন নিঃস্ব।
আরেক দোকানি মজিব কাজী বলেন, তারা ৩-৪শ’ জন সংঘবদ্ধভাবে ইফতারের পর পর রাতে বাজারের দোকানপাটে হামলা চালায়। আমার দোকানেও কুপিয়ে মালামাল নিয়ে যায়। আমি কখনই কারো সাথে কোনো শত্রুতায় জড়াইনি।
দোকানদার লিটন কবিরাজ বলেন, ইফতার করার জন্য দোকান বন্ধ করে বাড়িতে যাই। এসে দেখি আমার দোকান কুপিয়ে শাটার ভেঙ্গে দোকানে ভিতরে ঢুকে নগদ অর্থসহ সব মালামাল লুট করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। আমি এখন কী করবো কিছুই বুঝি না। থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে ওরা এসে মেরেই ফেলবে সেই ভয়ে আমরা তটস্থ।
একইভাবে অন্যান্য ভুক্তভোগীরা বলেন, ওরা সংখ্যায় ৩-৪শ’ জন। ওরা দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে নিজেরা নিজেরা আধিপত্য নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়িত হয়ে ক’দিন পরপর এরূপ কর্মকাণ্ড ঘটাচ্ছে। আর এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি আমরা নিরীহ দোকানিরা। আমরা এদের বিচার চাই।
এই বিষয়ে হাইমচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহিউদ্দিন সুমন বলেন, একটি চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে মনির ও এমরান নামের দুই গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলি হয়। পরে তারা আধিপত্য বিস্তার করে বাজারের বিভিন্ন দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট করে। আমরা যৌথবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি এবং ওখানকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রেখেছি। কেউ এখনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে।
তবে ঘটনা প্রসঙ্গে চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি বাহার মিয়া বলেন, আমরা ঘটনায় জড়িত ৭ জনকে আটক করেছি। ক্ষতিগ্রস্তদের থানায় এসে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি।
মন্তব্য করুন