সাজ্জাদ হোসেন সাকিব। নাদুসনুদুস টাইপের হ্যান্ডসাম চাঁদাবাজ। কখনো ডিসি, কখনো ইউএনও, কখনো বা থানার বড় বাবু সেজে সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে চার চাকা গাড়ি হাঁকিয়ে নিরীহ সহজ সরল মানুষদের বোকা বানিয়ে হাতিয়ে নেন নগদ অর্থ। আর কেউ চাঁদা দিতে গড়িমসি করলে ভয়ভীতি প্রদর্শন আর নানান ধরনের হুমকি দিয়ে চলে স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা। কথায় বলে চোরের দশদিন গৃহস্থের একদিন। কিন্তু বিধিবাম হওয়ায় এবার আর শেষরক্ষা হলো না এই চাঁদাবাজ কথিত ডিসির।
সোমবার (১৭ মার্চ) জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার চাড়াইলদার গ্রামে চাঁদাবাজির ঘটনার সময় কথিত ডিসি সাকিবকে হাতেনাতে ধরে এলাকাবাসী। এরপর তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
প্রতারক ডিসি নামধারী সাজ্জাদ হোসেন সাকিব ইসলামপুর উপজেলার মৌজাজাল্লা পাটানিপাড়ার সাইফুল ইসলামের ছেলে।
ঘটনাসূত্রে জানা যায়, মাটি ব্যবসায়ী রেজাউল করিম ভেক্যু দিয়ে কুলিয়া ইউনিয়নের চিনিতোলা এলাকায় মরা খাল থেকে চুক্তিভিত্তিক মাটি কাটছিলেন। মাটি কাটতে প্রশাসনিক কোনো প্রকার ঝামেলা হবে না মর্মে ডিসি সাহেবের সঙ্গে সমঝোতা করে দেওয়ার কথা বলে উপজেলার চাড়াইলদার গ্রামের সুরুজ প্রামাণিকের ছেলে প্রতারক মনির হোসেন জুইস, সাপ্তাহিক তেত্রিশ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন।
রেজাউল করিম তাতে রাজি হয়ে ডিসি সাহেবকে দেখার বায়না ধরলে সোমবার দুপুরের দিকে কথিত ডিসি সাজ্জাদ হোসেন সাকিব প্রাইভেট কার যোগে দেখা করতে এলে স্থানীয় জনতার হাতে আটক হন। আরেক প্রতারক মনির হোসেন জুইস কৌশলে পালিয়ে যান।
স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা সংবাদ সংগ্রহে ঘটনাস্থলে গেলে জোর পূর্বক পকেটে টাকা ঢুকিয়ে দিয়ে বিপদে ফেলার চেষ্টাও করেন কথিত ডিসি সাজ্জাদ হোসেন সাকিব।
পরে মেলান্দহ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কথিত ডিসিকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় আটক প্রতারক সাকিবকে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় আদালতে সোপর্দ করা হবে বলে জানান মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম।
এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী রেজাউল করিম তবে সেখানেও বাঁধ সাধে কথিত ডিসি সাজ্জাদ সাকিবের আত্মীয় স্বজনরা। মামলায় স্বাক্ষর দিতে গেলে তাকে টেনে হিঁচড়ে বাইরে আনার চেষ্টা করেন তারা।
মন্তব্য করুন