ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আক্তারুল আলম ফারুকের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাৎ ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ফারুক হোসেন নামে এক ব্যবসায়ী সোমবার (১৭ মার্চ) দুপুরে ময়মনসিংহ প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ করেন। তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছেন বিএনপির নেতা।
ফুলবাড়িয়া উপজেলার বাদিহাটি গ্রামের মাটি কাটার ভেকু মালিক ফারুক হোসেন লিখিত বক্তব্যে বলেন, ফুলবাড়িয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আক্তারুল আলম ফারুকের নতুন বাড়ি নির্মাণের সময় ৭ বছর আগে ভেকু দিয়ে মাটি ভরাট করা হয়। ওই সময় মাটি কাটা বাবদ ভেকুর বিল হয় সাড়ে ৭ লাখ টাকা। কিছু টাকা পরিষদ করে, বাকি ৪ লাখ ৬৫ হাজার টাকা দেয়নি। বিভিন্ন অজুহাতে বছরের পর বছর পার করে। টাকা চাইতে গেলে গালাগাল ও প্রাণনাশের হুমকি দেন আক্তারুল আলম।
লিখিত বক্তব্যে ফারুক হোসেন আরও বলেন, গত ৫ আগস্টের পর তার ক্ষমতার দাপট বেড়ে যায়, তার কাছে টাকা চাইতে সাহস পায়নি। কোনো উপায় না দেখে সবশেষ শনিবার (১৫ মার্চ) অভিযুক্ত বিএনপির নেতার কাছে পাওনা টাকা চাইতে যাই। এ সময় অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও সন্ত্রাসী বাহিনী লেলিয়ে দেওয়া হয়। এ অবস্থায় পরিবার নিয়ে এখন চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ্য করেন তিনি।
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আক্তারুল আলম ফারুক বলেন, কে এই ভেকুর মালিক আবার কবে কোনদিন তার মাটি কেটেছে জানা নেই। এ ধরণের অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। তবে এটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলকভাবে ওই লোকটাকে পেছনে লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ধ্বংস করার জন্য বিএনপির কিছু নেতা এসব কাজ করছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। এ বিষয়ে ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি জাকির হোসেন বাবলু বলেন, ভেকুর মালিক টাকা পায়, এটা তার ব্যক্তিগত বিষয়। পাওনা টাকার সঙ্গে রাজনৈতিক কোনো সম্পর্ক নেই। এটা তার ব্যাক্তিগত বিষয়। এখানে বিএনপি নেতাকে জড়ানোও ঠিক হয়নি। আর সামান্য বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করাটাও ঠিক হয়নি বলে তিনি জানান।
মন্তব্য করুন