মনিরামপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. মো. ইকবাল হোসেন বলেছেন, একটি মহল আমার নামে অপপ্রচার চালাচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে হাতিয়ার বানিয়ে ইচ্ছামতো সংবাদ প্রচার করছে তারা।
শুক্রবার (১৪ মার্চ) দৈনিক কালবেলার সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
শহীদ ইকবাল বলেন, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি মহল আমার নামে নানা মিথ্যাচার করছে। মূলত তারা আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে এগুলো করছে। কিছুদিন আগে একদল আমার নামে এক ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠায়, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। যার বরাতে এ অভিযোগ ওঠে তিনি নিজেই ভিডিও বার্তায় বলেছেন- এই অভিযোগ মিথ্যা। বরং তাকেই আমি বলেছি কেউ চাঁদা দাবি করলে আমাকে বলতে।
তিনি বলেন, আমি ছাত্র থাকা অবস্থায় জাতীয়তাবাদীতে বিশ্বাসী। দলের দুরবস্থায় আমি সবসময় দলের জন্য কাজ করে গেছি। কখনো কোনো অন্যায়ের সঙ্গে আপস করিনি। এর জন্য অনেকবার আমাকে জেল-জুলুমের শিকার হতে হয়েছে। বাড়ি থেকে পালিয়ে পালিয়ে থাকতে হয়েছে।
ইকবাল বলেন, সম্প্রতি মনিরামপুর উপজেলা বিএনপির কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এই কমিটি ঘোষণার আগে থেকে এখন পর্যন্ত একটি মহল আমার বিরুদ্ধে লেগে আছে। যাচাই বাছাই না করেই তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে ব্যবহার করে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে।
তিনি বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমি বিএনপি থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী। মনিরামপুরের আপামর জনতা আমাকেই তাদের জনপ্রতিনিধি হিসেবে চান। এখন জনমত জরিপ করলেও আমি বিপুলভাবে এগিয়ে থাকব, যা একটি মহলের ঈর্ষার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব অপপ্রচারে স্বৈরাচারের দোসরদের হাত রয়েছে বলে আমি মনে করি।
তিনি আরও বলেন, যখন মনিরামপুরে বিএনপির কেউই মাঠে নামার সাহস পেত না তখন আমি আমার কর্মীদের নিয়ে মাঠে থেকেছি। মৃত্যুর ভয় না করে রাজপথে লড়েছি গণতন্ত্রের জন্য। দীর্ঘ ১৭ বছর দলের নেতাকর্মীদের জন্য মামলা লড়েছি। কখনো পিছপা হইনি। এখন অনেকেই আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত, যা খুবই দুঃখজনক।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি মনিরামপুর বাজারের এক মিষ্টি ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা দাবির একটি অভিযোগ ও ঘের দখল নিয়ে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। যদিও পরবর্তীতে ভুক্তভোগীরা বিষয়টিকে মিথ্যা বলেছেন। এ ক্ষেত্রে তারা তাদের বিপদের সময় শহীদ ইকবাল হোসেনকে পাশে পেয়েছেন বলে জানান।
মন্তব্য করুন