নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে চকলেট কিনে দেওয়ার কথা বলে ইব্রাহিম নামে কাঁচামাল ব্যবসায়ী সাত বছরের শিশুকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রাতে শিশুর বাবা মাকে হুমকি ধামকি দিয়ে পাঁচ হাজার টাকা রফাদফা করে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালায়।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে উপজেলার তারাব পৌরসভার রূপসী বাঘবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রাত ১১টার দিকে এলাকাবাসী বিষয়টি জানতে পেরে ধর্ষক ইব্রাহিমের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ করতে থাকে।
ইব্রাহিম সুনামগঞ্জ জেলার বিঞ্চামপুর এলাকার আব্দুল মিয়ার ছেলে। বর্তমানে তারাব পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান বাবেলের বড় ভাই রুবেলের বাড়ির ভাড়াটিয়া।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, শিশুটির পরিবার রূপসী বাঘবাড়ি এলাকায় তানসেন নামে একজনের বাড়িতে ভাড়া থাকেন। ইব্রাহিম রূপসী বাঘবাড়ি ব্রিজ এলাকায় কাঁচামালের ব্যবসা করেন। ইব্রাহিম শিশুটিকে চকলেট কিনে দেওয়ার কথা বলে তার দোকানের ভেতরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন।
এ সময় জালালের স্ত্রী ইব্রাহিমের দোকানে শুঁটকি কিনতে গিয়ে ধর্ষণের বিষয়টি দেখে স্থানীয়দের খবর দেন। পরে বিকেলের শিশুটি তার মা-বাবাকে বিষয়টি জানান। শিশুদের বাড়িওয়ালা তানসেন ও তারাব পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান বাবেলের বড় ভাই রুবেল ও স্থানীয় প্রভাবশালী পলিনসহ কয়েকজন মিলে ধর্ষণের বিষয়টি ক্ষতিপূরণ বাবদ পাঁচ হাজার টাকা শিশুর পরিবারকে দিবেন বলে আশ্বাস দেন।
রাত ৯টার দিকে এলাকাবাসী ধর্ষণের বিষয়টি জানতে পেরে রুবেলের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ করে বাড়িটি ঘিরে রাখেন। এ সময় উত্তেজনা বাড়তে দেখে রুবেল ও তানসেন মিলে ইব্রাহিমকে বাড়ি থেকে বের হয়ে পালাতে সহযোগিতা করেন। রাত ১১ টার দিকে রূপগঞ্জ থানার ওসি লিয়াকত আলীসহ পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে পৌছাঁন।
শিশুটির বাবা বলেন, আমার মেয়ের সাত বছর। আমি দিনমজুরের কাজ করি। বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে আমি কাজ থেকে এসে শুনতে পারি আমার মেয়েকে ইব্রাহিম ধর্ষণ করেছে। আমি এখানে ভাড়া থাকি। বাড়িওয়ালা তানসেন ও রুবেলসহ কয়েকজন মিলে আমাকে চাপ দিয়ে পাঁচ হাজার টাকা দিবে বলে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে বলেন। আমি মেয়ের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনার বিচার চাই। ইব্রাহিম আমার মেয়েকে এর আগেও বেশ কয়েকবার ধর্ষণ করেছে। বলেছে যদি কাউকে এ কথা বলে তাহলে তাকে হত্যা করবে বলে হুমকি ধামকি প্রদান করে।
রূপগঞ্জ থানার ওসি লিয়াকত আলী বলেন, আমিসহ পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ভিকটিমের পরিবারের সঙ্গে কথা হয়েছে। বিস্তারিত পরে বলতে পারব।
মন্তব্য করুন