রাজশাহীর তানোরে ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথিকে বরণ করা নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে একজনের মৃত্যুর ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।
বুধবার (১২ মার্চ) মধ্যরাতে তানোর থানায় হত্যা মামলাটি দায়ের করেন নিহত বিএনপিকর্মী গানিউল হকের বড়ভাই মোমিনুল হক।
মামলায় মোট ৩৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ৫০ থেকে ৬০ জনকে। মামলার ১ নম্বর আসামি তানোর পৌরসভার সাবেক মেয়র ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান মিজান। তাকে হুকুমের আসামি করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার তানোরের পাঁচন্দর ইউনিয়ন বিএনপির ওই ইফতারে প্রধান বক্তা হিসেবে অংশ নিয়েছিলেন মিজানুর রহমান। আর প্রধান অতিথি ছিলেন দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও রাজশাহী-১ আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী মেজর জেনারেল (অব.) শরীফ উদ্দিন।
ওই ইফতারে শরীফ উদ্দিন আসার আগে তাকে বরণ করে নিতে বিএনপির দুই গ্রুপের নেতাকর্মীরা আগে থেকেই কৃষ্ণপুর মোড়ে অপেক্ষা করছিলেন। ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মোমিনুল হকের অনুসারীরা প্রধান অতিথিকে বরণ করতে চাইলে বাধা দেন বর্তমান সভাপতি মুজিবুর রহমানের অনুসারীরা। তখন দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।
ওই সময় মোমিনুল হকের ছোটভাই গানিউল ইসলাম আহত হন। তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। বুধবার সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
তানোর থানার ওসি আফজাল হোসেন কালবেলাকে বলেন, ‘গানিউলের মৃত্যুর ঘটনায় সাবেক পৌর মেয়র মিজানুর রহমানসহ ৩৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
মামলায় আসামি করার বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক পৌর মেয়র মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই ঘটনা ঘটে গেছে। পরে আমি গিয়ে ইফতার করেছি। আমাকে কেন আসামি করল বুঝতে পারছি না। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে এটা করতে পারে।’
মন্তব্য করুন