বরিশালের মুলাদী উপজেলায় আটক পাঁচ ডাকাতকে ছাড়াতে দলবল নিয়ে থানায় হাজির হলেন ছাত্রদলের বরিশাল জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল রাঢ়ি। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সকালে এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মুলাদী থানার ওসি জহিরুল ইসলাম বলেন, সোমবার মুলাদীতে গ্রেপ্তার হওয়া পাঁচজনের পক্ষে কিছু লোকজন নিয়ে থানায় এসেছিলেন সোহেল রাঢ়ি। তাদের দাবি গ্রেপ্তার হওয়ারা ডাকাত নয়, ষড়যন্ত্রের শিকার। তবে নৌপুলিশ বাদী হয়ে আটক ৫ জনের নাম উল্লেখ করে একটি অস্ত্র মামলা করেছেন। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
মুলাদী থানার ওসি জহিরুল আলম বলেন, বাবুগঞ্জ থেকে এক-দেড়শ নারী-পুরুষ আসছিলেন গ্রেপ্তারদের পক্ষে। তাদের দাবি যাদের আটক করা হয়েছে তারা ষড়যন্ত্রের শিকার। বাবুগঞ্জের কেদারপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য নূরে আলম বেপারী তাদের ফাঁসিয়েছে।
আমরা বলেছি, ‘তাদের আটক করে নৌপুলিশের কাছে দিয়েছে গ্রামবাসী। ডাকাতির মালামালও উদ্ধার হয়েছে। মামলা করেছে নৌ থানা পুলিশ। এখানে তো আমাদের কিছু করার নেই। আদালতে আইনি লড়াই চালানোর পরামর্শ দিয়েছি। তারপর তারা চলে গেছে’।
এ প্রসঙ্গে জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল রাঢ়ী বলেন, যে পাঁচজন আটক হয়েছে তাদের মধ্যে মহিউদ্দিন ওরফে পিস্তল মহিউদ্দিনকে নিয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই। তবে বাকি যে চারজন আটক হয়েছে তাদের মধ্যে একজন ইউনিয়ন যুবদলের নেতাও আছেন। তাদের কোনো কারণ ছাড়াই পুলিশ ধরে নিয়েছে। তারা কোনোভাবেই ডাকাত নয়। তাছাড়া যেই এলাকায় ঘটনা সেখানেও আমরা খোঁজ নিয়ে দেখেছি সেখানকার কোনো বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেনি। নৌপুলিশ কোনো এক ব্যক্তির মাধ্যমে খবর পেয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। সেই ব্যক্তিই ইউপি চেয়ারম্যান নূরে আলম।
তবে যারা গ্রেপ্তার হয়েছে তারা ভোররাতে পন্টুন ও ভেকু নিয়ে কোথায় যাচ্ছিল এবং উদ্ধার হওয়া অস্ত্র কোথা থেকে এলো সে বিষয়ে সঠিক উত্তর দিতে পারেননি সোহেল রাঢ়ী।
বরং তিনি বলেন, আমি থানা ঘেরাও করতে যাইনি। বাবুগঞ্জের সন্তান হিসেবে স্থানীয় মুরব্বিদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে গিয়েছিলাম।
কারাগারে যাওয়া পাঁচ ডাকাত সদস্য হলেন- বরিশাল সিটি করপোরেশনের ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাশিপুরের বাসিন্দা আজাহার মুন্সীর ছেলে মহিউদ্দীন ওরফে রাইফেল মহিউদ্দীন (৩৮), ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বাবুল হাওলাদারের ছেলে হাবিব (২৩), বরিশালের গৌরনদীর সরিকল ইউনিয়নের কাণ্ডপাশা গ্রামের ইদ্রিস ফকির (৫৫), বাবুগঞ্জ উপজেলার জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়নের চরফতেহপুর গ্রামের মৃত মালেক আকনের ছেলে ও ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ আকন (৪২) এবং একই উপজেলার নতুন চরজাহাপুর গ্রামের ফরিদ ব্যাপারীর ছেলে সায়েম ব্যাপারী (২২)।
মন্তব্য করুন