শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চালু হচ্ছে দর্শনার্থী কার্ড। সম্পূর্ণ ডিজিটাইজড পদ্ধতিতে এ কার্ড দেওয়া হবে আগামী সপ্তাহেই। অতিরিক্ত দর্শনার্থী প্রবেশ ঠেকাতে এ উদ্যোগ নিয়েছেন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. একেএম মশিউল মুনীর।
জানা গেছে, ১৯৬৮ সালে ৩৬০ শয্যার অবকাঠামো নিয়ে যাত্রা শুরু শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের। বর্তমানে গড়ে প্রতিদিন নতুন ৭০০ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন। ফলে হাসপাতালে অন্তর্বিভাগে ভর্তি থাকেন প্রায় ৩ হাজার রোগী। প্রতি রোগীর সঙ্গে হাসপাতালে অবস্থান নেন ৪-৫ জন দর্শনার্থী কিংবা স্বজন। দিনে দিনে হাসপাতালে রোগী ও তার স্বজনদের সংখ্যা বাড়লেও সেই তুলনায় হাসপাতালের অবকাঠামোগত কোনো উন্নতি হয়নি। ফলে মানুষের অতিরিক্ত চাপে টয়লেট ও পরিবেশ নোংরা হওয়াসহ সব ক্ষেত্রেই সমস্যা হচ্ছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে পরিচালক মশিউল মুনীর হাসপাতালে চিকিৎসার সুস্থ পরিবেশ নিশ্চিতে দর্শনার্থী কার্ড চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
দর্শনার্থী কার্ড চালুর পর কেউ এটি ছাড়া হাসপাতালে প্রবেশ করতে পারবেন না। কার্ড সংগ্রহ করতে লাগবে ১০০ টাকা। কার্ড জমা দিলেই সেই ১০০ টাকা ফেরত দেওয়া হবে। একজন রোগীর জন্য সর্বোচ্চ দুটি কার্ড সংগ্রহ করা যাবে। কার্ডের মেয়াদ ৭ দিন। মেয়াদোত্তীর্ণ কার্ড ব্যবহার করলে ১০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হবে।
হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মাহমুদ হাসান বলেন, দর্শনার্থী কার্ড চালু হলে প্রতিদিন প্রায় ১২ হাজার দর্শনার্থীর চাপ কমবে। আগামী সপ্তাহে প্রাথমিকভাবে মেডিসিন ভবনে এই কার্ড চালু হবে। পর্যায়ক্রমে চালু করা হবে অন্য বিভাগগুলোয়।
হাসপাতালের পরিচালক এ কে এম মশিউল মুনীর বলেন, অতিরিক্ত দর্শনার্থীর কারণে চিকিৎসার সুষ্ঠু পরিবেশ ব্যাহত হয়। তাই চিকিৎসার পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে ভিজিটিং আওয়ারে (বিকেল ৩টা থেকে ৫টা) কার্ড ছাড়া হাসপাতালে প্রবেশ করা যাবে। হাসপাতালের পরিবেশ উন্নয়নে তিনি সবার সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
মন্তব্য করুন