পঞ্চগড়ের ভিতরগড় সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত আল-আমিনের মরদেহ চার দিন পর ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাত পৌনে নয়টার দিকে আইনি প্রক্রিয়া শেষে বাংলাবান্ধা-ফুলবাড়ী আইসিপি পয়েন্টে বিজিবি-বিএসএফের উপস্থিতিতে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। নিহত আল আমিন সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের জিন্নাতপাড়ার সুরুজ আলীর ছেলে।
এ সময় নিহতের বড় ভাই মো. মোস্তফা কামাল, ছোট ভাই মো. মনসুর আলী এবং স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. শামসুদ্দিন এবং মো. শফিকুল ইসলাম লাশ গ্রহণ করেন।
এর আগে শুক্রবার (৭ মার্চ) ভোরে নীলফামারী ব্যাটালিয়নের (৫৬ বিজিবি) ভিতরগড় বিওপি এলাকার সীমান্ত পিলার ৭৪৪/৭ এস থেকে আনুমানিক ৫০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে আবালুপাড়া নামক স্থানে বিএসএফের টহলদলের গুলিতে আল আমিন নিহত হন। পরে মরদেহ বিএসএফ টহল দল নিয়ে যায়। তারা ময়নাতদন্ত শেষে রাজগঞ্জ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে বিএসএফের সঙ্গে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) যোগাযোগ করে। মরদেহ শনাক্তসহ ফেরত পেতে পতাকা বৈঠকের জন্য বিএসএফকে চিঠি দেয় বিজিবি। পরে বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
তেঁতুলিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এনায়েত কবির বলেন, মঙ্গলবার রাত পৌনে নয়টার দিকে পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা-ফুলবাড়ি জিরোপয়েন্টে বিএসএফের গুলিতে নিহত আল আমিনের মরদেহ এসআই আব্দুল মালেক গ্রহণ করেছেন। এ সময় নিহতের স্বজনরা উপস্থিত থেকে মরদেহ বুঝে নেন।
মন্তব্য করুন