লালমনিরহাটে শাকিল নামে এক মাদ্রাসাছাত্রকে অপহরণের পর মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে হত্যা করে লাশ সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেয় অপহরণকারীরা। এ ঘটনায় একই পরিবারের তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) বিকেলে মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। লালমনিরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ-সার্কেল) এ কে এম ফজলুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, সোমবার (১০ মার্চ) দুপুরে সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়নের ফকিরটারী এলাকার আনসারিয়া নুরানী মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র শাকিল অপহরণের শিকার হয়। পরে ওইদিন বিকেলে একটি নম্বর থেকে ফোন করে শাকিলের মায়ের কাছে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানালে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। পরে একই এলাকার সহিদুল ও তার ছেলে সোহানকে আটক করে পুলিশ। পরদিন মঙ্গলবার দুপুরে আটক করা হয় সোহানের মা সাহানাকে। পরে আটক সোহানের দেওয়া তথ্য মতে অপহরণের পর আজ মঙ্গলবার ওই এলাকার সহিদুলের বাড়ি সংলগ্ন একটি সেপটিক ট্যাংকে ফেলে রাখা শাকিলের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
লালমনিরহাট সদর থানার ওসি নুরনবী বলেন, শাকিলের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে। শাকিলকে হত্যার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
লালমনিরহাট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ-সার্কেল) এ কে এম ফজলুল হক বলেন, শিশু শাকিলকে অপহরণ ও হত্যা ঘটনায় এরই মধ্যে তিনজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আটক সোহানের দেওয়া তথ্যেই শাকিলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। শাকিলকে অপহরণ ও হত্যার কারণ ও হত্যাকাণ্ডে আরও কারা জড়িত তা জানতে তদন্ত চলছে।
মন্তব্য করুন