নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে একটি বাসায় গ্যাসের লাইন লিকেজ হয়ে বিস্ফোরণে দগ্ধ স্ত্রী-সন্তানের পর না ফেরার দেশে চলে গেছেন সোহাগ (২৩)। এ ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল চারজনে।
সোমবার (১০ মার্চ) দিবাগত রাত ১টার দিকে জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত সোহাগ নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার পানিয়াল পুকুর গ্রামের মাজেদুল ইসলামের ছেলে।
এর আগে মারা গেছেন- সোহাগের স্ত্রী রূপালী (২০), দেড় বছরের মেয়ে সুমাইয়া ও একই বাড়ির ভাড়াটিয়া রিকশাচালক হান্নান (৪০)।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে নিহতের বড় ভাই রুবেল বলেন, আমার ছোট ভাই সোহাগ তার স্ত্রী ও দেড় বছরের মেয়ে সুমাইয়া কেউ আর বেঁচে নেই। সোহাগ মারা গেছে সোমবার রাতে। তার স্ত্রী রূপালী রোববার ভোরে আর মেয়ে সুমাইয়া মারা গেছে গত শুক্রবার রাতে।
জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান জানান, সোহাগের শরীরের ৪০ শতাংশ দগ্ধ ছিল।
উল্লেখ্য, গত ৩ মার্চ রাতে সিদ্ধিরগঞ্জের পশ্চিম ধনকুন্ডা এলাকায় ইব্রাহিমের বাড়িতে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ ঘটে। এ সময় বাড়ির দুটি কক্ষে আগুন ধরে গেলে দুই পরিবারের নারী-পুরুষসহ আটজন দগ্ধ হয়।
মন্তব্য করুন