ভোলার মনপুরায় এক ব্যবসায়ীর ছাগল চুরির ঘটনায় যুবদলের কর্মীসহ পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার (৯ মার্চ) ভোর ৫টায় উপজেলার উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের তালতলা বাজার থেকে ছাগলটি চুরি হয়।
সোমবার (১০ মার্চ) সকাল ১০টায় ঘটনা জানাজানি হলেও স্থানীয়রা একত্রিত হয়ে পুলিশসহ যুবদল কর্মীর বাড়ি থেকে ছাগলসহ যুবদল নেতাকে আটক করে। পরে ওই যুবদল নেতার স্বীকারোক্তিতে অপর চার সদস্যকে আটক করে পুলিশে।
আটকরা হলেন- উপজেলার দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের যুবদলের কর্মী হুমায়ন মিঝি ও রিপন সর্দার, ফিরোজ রাঢ়ী, মনির রাঢ়ী ও রাজিব। তাদের সবার বাড়ি উপজেলার দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের রহমানপুর গ্রামে। তারা সবাই স্থানীয় বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।
ঘটনা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার তালতলা বাজারের চা ব্যবসায়ী সফি শখ করে বাজারে রাম ছাগল পালতেন। রোববার ভোরে দোকান থেকে সেহরি খেতে বাসায় যান ওই ব্যবসায়ী। এই সময়ে সংঘবদ্ধ চক্রটি রাম ছাগলটিকে বাজার থেকে চুরি করে নিয়ে যায়। পরে সকালে ঘটনা জানাজানি হলে পুলিশের সহযোগিতায় স্থানীয়রা যুবদল কর্মী হুমায়ন মিঝিকে বাড়ি থেকে ছাগলসহ আটক করে। তার স্বীকারোক্তিতে চক্রের অপর চার সদস্যকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরে বিকেল সাড়ে ৫টায় মনপুরা থানায় বাদী হয়ে মামলা করেন ব্যবসায়ী।
এদিকে এ ঘটনা সর্বত্র ছড়িয়ে পড়লে উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক শামসুদ্দিন মোল্লা সাংবাদিকদের জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘটনাটি দেখেছি। হুমায়ন মিঝি নামে এক যুবদল কর্মী ছাগল চুরি করতে গিয়ে জনগণের কাছে ধরা খেয়েছেন। আসলেই হুমায়ন মিঝি নামে দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নে কোনো যুবদল নেতা নেই। তার মনপুরা উপজেলা যুবদলের সঙ্গে সর্ম্পক নেই। এসব অপকর্ম যারা করে তাদের সঙ্গে মনপুরা উপজেলা যুবদলের সম্পর্ক নেই।
তিনি বলেন, উপজেলা বিএনপির আরেকটি গ্রুপের নেতাদের ছবি দিয়ে ব্যানার-ফেস্টুন করে অপকর্ম করছে হুমায়ন মিঝিদের মতো লোকেরা।
মনপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আহসান কবির জানান, সংঘবদ্ধ চোর চক্রটিকে ধরতে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল। অবশেষে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ছাগলসহ চক্রের ৫ সদস্যকে আটক করা হয়েছে। ছাগল মালিক বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন।
মন্তব্য করুন