রক্তাক্ত জখম হয়ে নিজেই ফার্মেসিতে চিকিৎসা নিতে হাজির হয়েছে হনুমান। ফার্মেসিতে গিয়ে ক্ষতস্থানটি বারবার দেখাতে থাকে ফার্মেসিতে থাকা লোকজনদের। একজন সাহস করে কাছে গিয়ে দেখে হনুমানটি হাতে আঘাত পেয়েছে। ফার্মেসি মালিক ভায়োডিন দিয়ে পরিষ্কার করে ব্যান্ডেজ করে দিলে হনুমানটি চুপ করে বসে থাকে।
শুক্রবার (৭ মার্চ) রাতে মেহেরপুর শহরের আলহেরা ফার্মেসিতে এমনই এক আশ্চর্যজনক ঘটনা ঘটেছে।
আর হনুমানের এমন কাণ্ড দেখতে ভিড় জমায় স্থানীয়রা। এসময় কেউ পাউরুটি, কেউ কলা আবার কেউ বিস্কুট খেতে দেয় হনুমানটিকে। কেউ কেউ হনুমানটির গায়ে হাত বুলিয়ে আদরও করে।
এমন দৃশ্য দেখা যাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিও ক্লিপে। ভিডিও ক্লিপটি দেখার পর সেখানে উপস্থিত কয়েকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় কালবেলার পক্ষ থেকে।
ফয়সাল নামের একজন বলেন, কে বা কারা হনুমানটির হাতে আঘাত করেছিল। এতে প্রাণীটি রক্তাক্ত জখম হয়। পরে ফার্মেসির কাছে গিয়ে ঘোরাঘুরি করতে থাকে। একপর্যায়ে সুযোগ বুঝে হনুমানটি ফার্মেসিতে ঢুকে পড়ে।
ফার্মেসির মালিক বলেন, এভাবে হনুমানটিকে ফার্মেসিতে ঢুকতে দেখে আমরা প্রথমে ভয় পেয়েছিলাম। সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে হনুমানটি বারবার তার হাতের ক্ষতস্থানের দিকে ইশারা করছিল। কাছে গিয়ে দেখি তার হাত কেটে গেছে। পরে ক্ষতস্থানে ভায়োডিন দিয়ে পরিষ্কার করে ব্যান্ডেজ করে দেই এবং কলার সঙ্গে ওষুধ মিশিয়ে খাইয়ে দেই। পরে চিকিৎসা শেষে হনুমানটি আবার চলে যায়।
উল্লেখ্য, আধুনিক বিজ্ঞানের যতগুলো গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার তার অন্যতম ব্রিটিশ বিজ্ঞানী চার্লস ডারউইনের বিবর্তনবাদের তত্ত্ব। বিবর্তনবাদের এই তত্ত্বটি অনুসারে বানর বা শিম্পাজি থেকে মানুষের উদ্ভব হয়েছে। যদিও ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে এ তত্ত্বটিকে কখনো সমর্থন করা হয়নি। এছাড়াও বর্তমানে বৈজ্ঞানিকরা প্রকৃতিবিজ্ঞানী চার্লস রবার্ট ডারউইনের বিবর্তনবাদ তত্ত্বটিকে ভুল বলে দাবি করেছেন।
তবে তত্ত্বটি ভুল হলেও বানরের রয়েছে মানুষের মতোই বুদ্ধি, আবেগ ও অনুভূতি। আহত হনুমানটির কাণ্ড যেন এটাই প্রমাণ করে।
মন্তব্য করুন