ঝিনাইদহের শৈলকুপায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় দুপক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হন।
শনিবার (৯ মার্চ) রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার ২নং মির্জাপুর ইউনিয়নের বালাপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
আহতরা বর্তমানে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ঝিনাইদহ আড়াইশ শয্যা হাসপাতাল ও কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। খবর পেয়ে মধ্যরাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
বালাপাড়া গ্রামের সেলিম শাহ জানান, তারা সরকারি বন্দোবস্তের ২ একর ৭৫ শতক জমি বাবা-দাদার আমল থেকে ভোগ করছেন। এই জমি গত ৫ আগস্টের পর জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করছেন এই গ্রামের আমিরুল ইসলাম। এ ঘটনা কেন্দ্র করে ২ দিন আগে আমিরুলের সমর্থকরা তার পক্ষের মোজাম মণ্ডল ও চান মণ্ডল নামের দুজনকে পিটিয়ে আহত করেন। এরপর তারা আরও হামলার প্রস্তুতি নেন।
তিনি বলেন, বিষয়টি সমাধানের উদ্দেশ্যে তিনি ও তার সমর্থকরা শনিবার রাতে আলোচনায় বসেন। রাত সাড়ে ১২টার দিকে আলোচনা শেষে বাড়ি ফেরার সময় আমিরুল সমর্থকরা পুনরায় তাদের ওপর হামলা করেন। এই হামলার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন দুপক্ষের সমর্থকরা। হামলায় রাশেদ শাহ, জানারুল শাহ, মশিউর মণ্ডল, আনোয়ার সদ্দার, মোয়াজ্জেম শাহ, ঝন্টু মোল্যা, রিগান খাঁ, সোহান মণ্ডল, মনিরুল মোল্যা, রাজন খাঁ, আজিজুল মণ্ডল, মিন্টু মণ্ডল, সাহেব আলী , সাদ্দাম, হোসেন, হাসিব শেখ, মানফুল শেখসহ ৩০ জন আহত হন।
কিন্তু সেলিম শাহের অভিযোগ অস্বীকার করে আমিরুল ইসলাম জানান, সরকারি বন্দোবস্তের জমিটা তার দালিলিক সম্পত্তির সম্মুখভাগে। এ জমিটা বহু বছর ধরে তারাই ভোগ করছেন। মাঝে মধ্যে সেলিম শাহ এটি দখলের চেষ্টা করেন। সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটান।
এ বিষয়ে শৈলকুপা থানার ওসি মাসুম খান কালবেলাকে বলেন, জমি নিয়ে বিরোধে শৈলকুপা মির্জাপুর ইউনিয়নে দুইদল গ্রামবাসির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে বেশ কয়েক ব্যক্তি আহত হয়েছে। রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মন্তব্য করুন