শুষ্ক মৌসুমে দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। ফলে হাজার চেষ্টাতেও সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে নলকূপে টিউবওয়েলে পানি উঠছে না। তাই দেখা দিয়েছে পানির তীব্র সংকট।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সাত ইউনিয়নে সাড়ে ৪ হাজারের বেশি নলকূপ (হ্যান্ড টিউবওয়েল) রয়েছে। এর কোনোটিতেই পানি উঠছে না। তবে সাবমার্সিবল টিউবওয়েলে পানি পাওয়া যাচ্ছে। উপজেলার বাদাঘাট ও উত্তর বড়দল ইউনিয়নের প্রতি হ্যান্ড টিউবওয়েলের গভীরতা ২৫০ ফুট। বাকি ইউনিয়নগুলোয় টিউবওয়েলের গভীরতা ৫৫০ থেকে ৬০০ ফুট। কিন্তু একই গভীরতার সাবমার্সিবল টিউবওয়েলে পানি উঠছে।
উপজেলার সদর, বাদাঘাট, বালিজুরী, দক্ষিণ শ্রীপুর, উত্তর শ্রীপুর ও দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়নের স্থানীয়রা জানান, বেশিরভাগ টিউবওয়েলে পানি উঠছে না। বিশেষ করে চাপকলে (হ্যান্ড টিউবওয়েল) শত চাপার পরও পানি ওঠানো সম্ভব হচ্ছে না। অনেকে সাধারণ হ্যান্ড টিউবওয়েলে মোটর দিয়ে পানি তোলেন। তবে এখন মোটর লাগানো টিউবওয়েলেও পানি উঠছে না। তবে সাবমার্সিবল টিউবওয়েলে পানি পাওয়া যাচ্ছে।
উজান তাহিরপুর গ্রামের জানে আলম বলেন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে ৬০০ ফুট পাইপের মাধ্যমে বাড়িতে টিউবওয়েল বসানো হয়েছে। এক গ্লাস পানি ওঠাতে অন্তত ৫ মিনিট সময় লাগছে। প্রতি বছর শুষ্ক মৌসুমে এমন সমস্যা হয়।
মধ্য তাহিরপুর গ্রামের আসাদুজ্জামান মুন্না বলেন, টিউবওয়েল ও মোটরে পানি উঠছে না। ৫০০ লিটার পানির ট্যাঙ্ক ভরতে লাগছে পাঁচ ঘণ্টা। প্রতিবেশী এক বাড়িতে সাবমার্সিবল টিউবওয়েল ব্যবহার হয়। সেখানে পানি ওঠাতে সমস্যা হয় না।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী আল আমিন কালবেলাকে বলেন, এখন শুষ্ক মৌসুম। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়ায় হ্যান্ড টিউবওয়েলগুলোয় পানি উঠছে না। তবে বৃষ্টি হলেই এ সমস্যার সমাধান হবে। সমস্যা নিরসনে সরকার সাবমার্সিবল টিউবওয়েল বসানোর কাজ করছে। আগামীতে আরও বেশি সাবমার্সিবল টিউবওয়েল বসানোর জন্য সরকারের কাছে আবেদন করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন