মানিকগঞ্জের শিবালয়ে নিজস্ব উদ্ভাবনে বিমান তৈরি করে আকাশে ওড়ানোর মাধ্যমে সাড়া জাগানো মো. জুলহাস এবার মা ও ছোট ভাইকে নিয়ে আকাশে উড়েছেন। আর হেলিকপ্টারে চড়ার এ স্বপ্ন পূরণ করলেন বাংলাদেশ বিমানের অবসরপ্রাপ্ত পাইলট ক্যাপ্টেন আবদুল্লাহ আল ফারুক।
রোববার (৯ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার জাফরগঞ্জের সাতুরিয়া যমুনার চরে হেলিকপ্টারে গিয়ে ক্যাপ্টেন ফারুক জুলহাসের তৈরি বিমান পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি জুলহাসকে বিমান পরিচালনার বিভিন্ন দিক নিয়ে পরামর্শ দেন এবং জুলহাস ও তার পরিবারের সদস্যদের হেলিকপ্টারে ভ্রমণের সুযোগ করে দেন।
এ ব্যতিক্রমী মুহূর্তের সাক্ষী হতে স্থানীয় সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষসহ কয়েক হাজার মানুষ সেখানে উপস্থিত হন।
স্থানীয় বাসিন্দা শফি বিশ্বাস বলেন, জুলহাসের আবিষ্কার অসাধারণ! এর আগে আমরা অনেককে বিমান তৈরির কথা বলতে শুনেছি, কিন্তু কেউ সফল হননি। জুলহাস সেই অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন।
আরেক দর্শনার্থী হিরু মিয়া বলেন, জুলহাসের এই উদ্ভাবন বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে গৌরবান্বিত করেছে। আমরা চাই সরকার তাকে যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা দিক।
বিএনপি নেতা খন্দকার আক্তার হামিদ খান (বাবলু) বলেন, এক শতাব্দীর বেশি সময় আগে বিমান আবিষ্কার হয়েছিল সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায়। কিন্তু জুলহাস কোনো আনুষ্ঠানিক সহায়তা ছাড়াই নিজ প্রচেষ্টায় বিমান বানিয়ে ইতিহাস গড়েছেন। তাকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সহায়তা করা উচিত।
ক্যাপ্টেন আবদুল্লাহ আল ফারুক বলেন, বিমান তৈরির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ব্যালেন্সিং। কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছাড়াই জুলহাস এটি শিখে নিয়েছেন এবং সফলভাবে বিমান উড্ডয়ন ও অবতরণ করতে পেরেছেন, যা সত্যিই ঈর্ষণীয়।
বিমান উদ্ভাবক মো. জুলহাস জানান, চার বছর ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করে প্রথম দফায় ব্যর্থ হলেও, দ্বিতীয়বার সফলভাবে আকাশে বিমান ওড়াতে পেরেছি। পাইলট স্যার এসে আমাকে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছেন, যা ভবিষ্যতে কাজে লাগবে। তিনি আমাদের হেলিকপ্টারে ভ্রমণের সুযোগ করে দেওয়ায় আমি তার প্রতি কৃতজ্ঞ।
এরপর দুপুর ১টার দিকে জুলহাস তার তৈরি বিমান দ্বিতীয় দিনের মতো আকাশে ওড়ান।
মন্তব্য করুন