রংপুরে একটি পার্ক নির্মাণে চাঁদা চাওয়ার অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মহানগর কমিটির সাবেক মুখপাত্র নাহিদ হাসান খন্দকারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা হয়েছে।
রোববার (৯ মার্চ) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন গঙ্গাচড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আল এমরান।
তিনি জানান, শুক্রবার (৭ মার্চ) রাতে গ্রিন সিটি ইকো পার্কের মালিক আতিকুল ইসলাম ভূঁইয়া বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। এতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ওই নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, পার্ক নির্মাণ করতে নাহিদ হাসান খন্দকার এক লাখ টাকা এককালীন ও প্রতিদিন ২০ হাজার টাকা করে চাঁদা দাবি করেছেন। মামলায় নাহিদের নাম উল্লেখসহ তার সঙ্গে জড়িত অজ্ঞাত আরও ৬-৭ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এর আগে গত ১ মার্চ গঙ্গাচড়ার পূর্ব খলেয়া এলাকায় নির্মাণাধীন গ্রিন সিটি ইকো পার্ক কর্তৃপক্ষের কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা চাওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পরে নাহিদকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।
চাঁদা চাওয়ার ওই ভিডিওতে শোনা যায়, পার্ক কর্তৃপক্ষ নাহিদকে বলেন ‘তুমি যদি বলো সেখানে বালুর ব্যবসা হচ্ছে, তাহলে সেটা বন্ধ করে দিই।’ এ সময় নাহিদ বলেন, ‘না আপনি কেন কাজ বন্ধ করবেন। আপনি চালান, আপনি তো ভাই-ব্রাদার আমাদের। আপনি ভাইয়ের সঙ্গে রাতে কথা বলেন সময় নেন, সমস্যা নাই।’
পরে ওই ব্যক্তি বলেন, ‘১ লাখ টাকা দিতে পারব না, ৫ হাজার টাকা দিই। এক লাখ টাকা কই থেকে দেব, একটা তো সিস্টেম আছে।’ পরে নাহিদ বলেন, ‘না না। আমি তাহলে আগাই। আপনি ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলেন। আপনি তো দেখছেন বিষয়টি কোথায় গেছে, ইউএনও-ডিসিকে সামলাতে হচ্ছে। যদি মনে হয় কিছু কমাবেন, তাহলে ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলেন। আমি চাই না আপনাদের কোনো সমস্যা হোক। জানেন তো সংগঠন চালাতে হলে কী কী করতে হয়।’
যদিও নাহিদ হাসান তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ বারবারই অস্বীকার করে আসছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমরা জানতে পারি একটি পার্কে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। আমরা সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ৭-৮ জনের একটা টিম সেখানে গিয়ে দেখতে পাই বালু উত্তোলন করে ট্রাকে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তাদের কাছে জানতে পারি পার্কের ভেতরে পুকুর খনন করে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। সেখানে একটি রিপোর্ট করি এবং বেশকিছু ভিডিও করে রাখি। সেখানকার একজন মুরুব্বি বেলাল নামে একজনকে ফোন দেয়। বেলাল বিএনপির পরিচয় দিয়ে আমাকে শিমুলবাগ কমিউনিটি সেন্টারে ডাকে। তাদের ১০-১২ জনের একটা টিম আমার কাছে আসে। কথাবার্তার মাঝে আমাদের বিভিন্নভাবে অর্থের প্রলোভন দেখায়। আমরা সেটি এড়ানোর চেষ্টা করে দ্রুত সেখান থেকে চলে আসি।
মন্তব্য করুন