রংপুরে নির্মাণাধীন একটি পার্কের মালিকের কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা চাওয়ার অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মহানগর কমিটির মুখপাত্র নাহিদ হাসান খন্দকারকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (৮ মার্চ) রাত সাড়ে ১১ টায় সংগঠনটির মহানগর কমিটির আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহমেদ ইমতি ও সদস্য সচিব রহমত আলী স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে গত ১ মার্চ গঙ্গাচড়ার পূর্ব খলেয়া এলাকায় নির্মাণাধীন গ্রিন সিটি ইকো পার্ক কর্তৃপক্ষের কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা চাওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পরে নাহিদকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।
চাঁদা চাওয়ার ওই ভিডিওতে শোনা যায়, পার্ক কর্তৃপক্ষ নাহিদকে বলেন ‘তুমি যদি বলো সেখানে বালুর ব্যবসা হচ্ছে, তাহলে সেটা বন্ধ করে দিই।’ এ সময় নাহিদ বলেন, ‘না আপনি কেন কাজ বন্ধ করবেন। আপনি চালান, আপনি তো ভাই-ব্রাদার আমাদের। আপনি ভাইয়ের সঙ্গে রাতে কথা বলেন সময় নেন, সমস্যা নাই।’
পরে ওই ব্যক্তি বলেন, ‘১ লাখ টাকা দিতে পারব না, ৫ হাজার টাকা দিই। এক লাখ টাকা কই থেকে দেব, একটা তো সিস্টেম আছে।’ পরে নাহিদ বলেন, ‘না না। আমি তাহলে আগাই। আপনি ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলেন। আপনি তো দেখছেন বিষয়টি কোথায় গেছে, ইউএনও-ডিসিকে সামলাতে হচ্ছে। যদি মনে হয় কিছু কমাবেন, তাহলে ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলেন। আমি চাই না আপনাদের কোনো সমস্যা হোক। জানেন তো সংগঠন চালাতে হলে কী কী করতে হয়'।
যদিও নাহিদ হাসান তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ বারবারই অস্বীকার করে আসছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমরা জানতে পারি একটি পার্কে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। আমরা সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ৭-৮ জনের একটা টিম সেখানে গিয়ে দেখতে পাই বালু উত্তোলন করে ট্রাকে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তাদের কাছে জানতে পারি পার্কের ভেতরে পুকুর খনন করে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। সেখানে একটি রিপোর্ট করি এবং বেশকিছু ভিডিও করে রাখি। সেখানকার একজন মুরুব্বি বেলাল নামে একজনকে ফোন দেয়। বেলাল বিএনপির পরিচয় দিয়ে আমাকে শিমুলবাগ কমিউনিটি সেন্টারে ডাকে। তাদের ১০-১২ জনের একটা টিম আমার কাছে আসে। কথাবার্তার মাঝে আমাদেরকে বিভিন্ন ভাবে অর্থের প্রলোভন দেখায়। আমরা সেটি এড়ানোর চেষ্টা করে দ্রুত সেখান থেকে চলে আসি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রংপুর মহানগর কমিটির আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহমেদ ইমতি কালবেলাকে বলেন, 'আমরা প্রাথমিকভাবে কেন্দ্রের সঙ্গে সমন্বয় করে আমাদের সিদ্ধান্ত জানালাম। আমরা অনেক রকম বিষয় পাচ্ছি, কেন্দ্র সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। আমরা যেহেতু পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অব্যাহতি তাকে দিয়েছি সেহেতু কেন্দ্র থেকে পরিদর্শন করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে '।
মন্তব্য করুন