নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে একটি চায়না কোম্পানির নির্মাণাধীন কাজে চাঁদা দাবি ও বাধা প্রদান করে গুলিবর্ষণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে।
শনিবার(৮ মার্চ) উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের প্যাচাইন এলাকার ওটমা গ্রামে হ্যানোচ হুক অ্যান্ড আই ফাস্টেনার (বা) কোম্পানি লিমিটেডের নির্মাণাধীন স্থানে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় বিকেলে হ্যানোচ হুক অ্যান্ড আই ফাস্টেনার কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক য্যাং-জিলং স্থানীয় সন্ত্রাসী দলের অন্যতম সদস্য আমিনুল ইসলাম শরিফ ও সেলিম মিয়াসহ ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে সোনারগাঁ থানায় একটি অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, হ্যানোচ হুক অ্যান্ড আই ফাস্টেনার কোম্পানি লিমিটেড ২০১৬ সাল থেকে বাংলাদেশে গার্মেন্টস এক্সসেরিজের ব্যবসা করে আসছে। কোম্পানিটি বাংলাদেশে ব্যবসা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে সোনারগাঁয়ে প্রায় ৭০০ শতাংশ জমি কিনে হ্যানোচ লিঙ্গারি পার্ক নামে একটি পূর্ণাঙ্গ গার্মেন্টস এক্সেসরিজ কারখানা করতে বালু ভরাট কার্যক্রম শুরু করে। গত বছরের ৫ আগস্টের পর স্থানীয় একদল সন্ত্রাসী কাজে বাধ প্রদান করে চাঁদা দাবি করছিল। তারই ধারাবাহিকতায় বিকেলে বালু ভরাটের কাজ পুনরায় শুরু করলে আসামিরাসহ প্রায় শতাধিক সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায় এবং পিস্তল হাতে নিয়ে গুলিবর্ষণ করে। পরে কোম্পানির একাধিক শ্রমিককে মারধর করে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে। যার সত্যতা কোম্পানির সিসিটিভি ফুটেজে ইতোমধ্যে আছে।
স্থানীয়রা জানান, সম্প্রতি চাঁদা দাবিতে উপজেলা যুবদলের বহিষ্কৃত নেতা আশরাফ ভূইয়া দেশের বাহিরে থাকলেও তার অনুসারী মুছা, স্বপন ও শহিদের নির্দেশনাতেই একদল সন্ত্রাসী এ হামলা চালায়। বিদেশিদের ওপর এমন হামলা লজ্জাজনক। দ্রুত তাদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাই।
কোম্পানির অ্যাডভাইজার স্টেফেনলি জানান, আমাদের বালু ভরাটের কাজে চাঁদা দাবিতে স্থানীয় একদল সন্ত্রাসী বাধা প্রদান করে আসছে। তারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের কোম্পানিতে হামলা চালায় ও আমাদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। আমরা এ দেশে কাজ করতে এসেছি। প্রশাসনের কাছে আমরা সুষ্ঠুভাবে কাজ করার জন্য নিরাপত্তা দাবি করছি ও এ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের শাস্তির দাবি জানাই।
সোনারগাঁ থানার ওসি মোহাম্মদ আব্দুল বারী বলেন, একটি কোম্পানির কাজে স্থানীয় সন্ত্রাসীদের হামলা ও গুলিবর্ষণের অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অপরাধীদের শনাক্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। শিগগির জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হবে।
মন্তব্য করুন