যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, নারীরা শুধু ক্রীড়াঙ্গনে নয় অন্য সব বিভাগে নাম উজ্জ্বল করে চলেছেন। নারীরা পুরুষদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নানা কাজে অংশগ্রহণ করে যাচ্ছেন। আরচারি ফেডারেশনে নারীরা ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের পতাকাকে তুলে ধরবেন।
শনিবার (৮ মার্চ) বিকেলে কিউট আন্তর্জাতিক নারী দিবস আরচারি টুর্নামেন্টের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, আমাদের মন্ত্রণালয়ের অধীনে ৫৫টি ফেডারেশন রয়েছে। সবার অর্জনের পরিমাণ সমান নয়। আমরা কিছু কিছু ফেডারেশনকে চিহ্নিত করেছি যারা জাতীয় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের সম্মান বয়ে এনেছেন। তার মধ্যে আরচারি ফেডারেশন অন্যতম। পুরুষ আরচারদের পাশাপাশি নারী আর্চারদের অংশগ্রহণে বিষয়টি আরও সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলে। আমাদের যেসব খেলাধুলায় সম্মান অর্জনের সুযোগ রয়েছে তার পৃষ্ঠপোষকতার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, তৈরি পোশাকশিল্প নারীদের উল্লেখযোগ্য অংশগ্রহণ ছাড়াও জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আমাদের ১১ নারী শহীদ ও সহস্রাধিক আহত নারী রয়েছেন। জুলাইয়ে শত মায়ের ত্যাগ রয়েছে।
অনুষ্ঠান শেষে টেলিফোন শিল্প সংস্থার মাঠে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়াম নির্মাণে জমি অধিগ্রহণ বা ভাড়া প্রদান বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে উপদেষ্টা আসিফ বলেন, আমরা এ বিষয়ে টেলিফোন শিল্প সংস্থার একটি প্রস্তাবনা পেয়েছি। দ্রুতই বিষয়টি সমাধান করা হবে।
আরচারি ফাউন্ডেশনের বিশেষ আয়োজনে ৮১ নারী আরচার অংশ নেন। টঙ্গীর আরচার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ১২টি দলের একক ধাপের খেলা পরিচালনা করা হয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব রেজাউল মকসুদ জাহেদী, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব আমিনুল ইসলাম, বাংলাদেশ আরচারি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজিব উদ্দিন আহম্মেদ চপল প্রমুখ।
আরচারি ফাইনাল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ান হয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশ আরচারি ক্লাবের ইতি খাতুন, টুর্নামেন্টে ফাস্ট রানার্সআপ হয়েছেন বিকেএসবি সোনালী রায়। খেলা শেষে প্রধান অতিথি বিজয়ীদের হাতে স্বর্ণ ও ব্রোঞ্জের পদক তুলে দেন।
মন্তব্য করুন