যশোরে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে দুটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে ছেলে। অপরদিকে সদর উপজেলায় এক কৃষককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে আরেক কৃষকের বিরুদ্ধে।
শনিবার (৮ মার্চ) যশোর সদর ও চৌগাছায় এ দুটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহতের ভাই মোস্তফা জানান, শরিফুল ইসলাম চাষাবাদের কাজ করতেন। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ছেলে রমিমের সঙ্গে গোলযোগ চলছিল তার। ১৫ দিন আগে তারা পৃথক হয়ে যায়। ছেলেকে জমিজমাও বুঝিয়ে দেন। শনিবার ভোরে সেহরির সময় রমিম বাবার রুমে ঢুকে ঘুমন্ত অবস্থায় তার মাথা ও ঘাড়সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
তার আর্তচিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে গুরুতর জখম অবস্থায় শরিফুলকে উদ্ধার করে চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এ সময় সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। প্রতিবেশীরা থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
চৌগাছা থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। ঘাতক ছেলে পলাতক। তাকে আটক করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
অপরদিকে শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সদর উপজেলার ওসমানপুরের মাঠে ধান ক্ষেতে পানি দেওয়াকে কেন্দ্র করে শহিদুল ইসলাম নামে এক কৃষককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের কৃষক একলাছের বিরুদ্ধে।
নিহতের পরিবারের দাবি, ক্ষেতে পানি দেওয়াকে কেন্দ্র করে একলাছসহ আরও ২ থেকে ৩ জন কোদাল দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে পিটিয়ে শহিদুলকে মাঠের মধ্যে ফেলে রেখে যায়। খবর পেয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শহিদুলকে মৃত ঘোষণা করেন।
যশোরের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, দুটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থলেই পুলিশের একাধিক টিম রয়েছে। জড়িতদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।
মন্তব্য করুন