রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশে সব ধর্মের প্রচলিত রেওয়াজ অনুসারে মায়ের সম্মান সবার ওপরে এবং এটা আমরা দিয়ে থাকি। আমাদের দেশে আন্তর্জাতিক নারী দিবসের তেমন সার্থকতা নেই, বরং আমরা তাদের এর চেয়ে বেশি সম্মান দিয়ে থাকি।
শনিবার (৮ মার্চ) সকালে রাজশাহী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
‘অধিকার, সমতা, ক্ষমতায়ন, নারী ও কন্যার উন্নয়ন’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে রাজশাহী জেলা প্রশাসন ও মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে সারা বিশ্বের মতো রাজশাহীতেও যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি উদ্যাপন করা হয়।
খোন্দকার আজিম আহমেদ বলেন, নারী দিবসের এ আন্দোলন হয়েছে আমেরিকা-ইউরোপে। কেননা, তারা তাদের এলাকায় বসবাসরত নারীদের অসম্মান করেছে। কিন্তু আমরা তো আমাদের নারীদের কখনো অসম্মান করিনি। তবে দু-একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেনি এমন নয়, যারা করেছে তাদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা মায়ের জন্য জীবন দেই, যুদ্ধ করি, কবিতা লিখি। নারী দিবস উদ্যাপনের অনেক আগে থেকেই আমরা তাদের সম্মান দেই। তবে বিশ্বের সবার সঙ্গে আমরা একমত, পৃথিবীর যে কোনো স্থানে যদি নারীদের প্রাপ্ত মর্যাদা না দেওয়া হয়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আমরা প্রতিরোধ গড়ে তুলব।
বিভাগীয় কমিশনার বলেন, মায়ের জন্য কোনো দিবসের প্রয়োজন হয় না, তার দিকে তাকালেই সওয়াব। একটা কন্যা সন্তানকে সঠিকভাবে মানুষ করলেই তো বেহেস্ত পাওয়া যায়। এ সময় নারীদের বিয়ের পরে উত্তরাধিকার না দেওয়ার প্রচলিত রেওয়াজ থেকে বেরিয়ে আসতে সবাইকে আহ্বান জানান তিনি।
রাজশাহী জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন- পুলিশ সুপার ফারজানা ইসলাম, সিভিল সার্জন দপ্তরের মেডিকেল অফিসার ডা. তামান্না কবীর, রাজশাহী কলেজের সংস্কৃত বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক সাগর কুমার এবং রাজশাহী উপশহর মডেল মসজিদ এবং ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের খতিব আবদুল্লাহ আল মামুন।
এ সময় স্বাগত বক্তব্য দেন- মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক শবনম শিরিন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, বিভিন্ন ধর্মীয় গবেষকরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে জীবিকায়নের জন্য দক্ষতাভিত্তিক প্রশিক্ষণ কর্মসূচির চারজন সফল উদ্যোক্তার হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
মন্তব্য করুন