চুয়াডাঙ্গায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির দু’গ্রুপের সংঘর্ষে স্থানীয় বিএনপির এক নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ। আহত হয়েছে চারজন।
শনিবার (৮ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের তিতুদহ গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে।
নিহত রফিক (৪৮) তিতুদহ গ্রামের রহিম মল্লিকের ছেলে। দুই সন্তানের জনক রফিক তিতুদহ ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শনিবার সকালে তিতুদহ ইউনিয়নে ভিজিএফ কার্ড দেওয়া নিয়ে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মিলন মিয়া গ্রুপ ও রফিক গ্রুপের। এ সময় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রফিকের ওপর হামলা চালায় মিলন গ্রুপের লোকজন। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান রফিক। আহত হয় রফিকের ছোট শফিক, বিএনপি নেতা মিলন, টোটন, রফিকুল। আহতরা চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি আছে।
তিতুদহ ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সেক্রেটারি ঈসমাইল হোসেন জানান, ভিজিএফ এর কার্ড বিতরণ নিয়ে কয়েক দিন ধরেই ঝামেলা চলছিল। আজ ইউনিয়নে বসে বিষয়টির মীমাংসা করার কথা ছিল। এর মধ্যে গন্ডগোল বেঁধে গেল। মারা গেল রফিক।
এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অবস) কনক কুমার দাস, সহকারী পুলিশ সুপার জাকিয়া সুলতানা, দর্শনা থানার ওসি শহিদ তিতুমীর।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কনক কুমার দাস কালবেলাকে বলেন, বিএনপির দু’গ্রুপের সংঘর্ষে বিএনপি নেতা রফিক নিহত হয়েছে। তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। ঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে পুলিশ। দুপুরে মরদেহ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন