কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর বিষাক্ত ধাতু নারীর প্রজনন স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে জ্বালানি খাতে নারীর সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ বৃদ্ধি করতে হবে এবং সর্বস্তরে জ্বালানির ন্যায়সংগত ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
শনিবার (৮ মার্চ) আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে মোংলায় অনুষ্ঠিত উঠানবৈঠকে বক্তারা এমন দাবি করে আরও বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে নারীর অংশগ্রহণ, ক্ষমতায়ন, জ্বালানি অধিকার নিশ্চিতকরণ এবং নীতিনির্ধারক হিসেবে নারীর ভূমিকা মূল্যায়ন করতে হবে।
মোংলার চিলা বাজারে উপকূলীয় নারীদের অংশগ্রহণে ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে নারীর ক্ষমতায়ন : টেকসই উন্নয়নে জ্বালানি নিরাপত্তা ও অধিকার নিশ্চিত করো’ শীর্ষক অনুষ্ঠিত উঠান বৈঠকে বক্তারা নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারের প্রয়োজনীয়তা ও বিদ্যুৎ খাতে নারীর অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে সচেতনতামূলক বার্তা তুলে ধরেন।
মোংলা নাগরিক সমাজ, ক্লিন (কোস্টাল লাইভলিহুড অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল অ্যাকশন নেটওয়ার্ক) ও বিডাব্লিউজিইডি (বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপ অন ইকোলজি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট)-এর যৌথ আয়োজনে এ উঠান বৈঠকের মূল লক্ষ্য ছিল সারা দেশে শতভাগ নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিশ্চিত করে নারীদের জ্বালানি নিরাপত্তা ও অধিকার প্রতিষ্ঠা করা।
উঠান বৈঠকে বক্তব্য দেন মোংলা নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক মো. নূর আলম শেখ, নারীনেত্রী কমলা সরকার, চন্দ্রিকা মন্ডল, রত্না শেখ, তন্বী মন্ডল, পরিবেশকর্মী হাছিব সরদার ও ইয়ুথ লিডার মেহেদী হাসান।
এ সময় বক্তারা আরও বলেন, দেশে ব্যবহৃত মোট জ্বালানির ৪৬ শতাংশই ব্যবহার হয় গৃহস্থালির কাজে অর্থাৎ নারীরাই সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করছেন কিন্তু আমদানিকৃত জীবাশ্ম জ্বালানির ফলে প্রতিনিয়ত বিদ্যুৎ-এর মূল্য বৃদ্ধির কারণে তারাই সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী হচ্ছেন। কিন্তু সক্রিয় অংশীদার বা নীতিনির্ধারক হিসেবে নারীদের স্বীকৃতি দেওয়া হয় না।
মন্তব্য করুন