টেন্ডার বা বন বিভাগের পরামর্শ ছাড়াই রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস চত্বরের সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কেএম ইফতেখারুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের প্রধান ফটকের সামনে থাকা মেহগনি গাছ ও মূল ভবনের পেছনে থাকা কাঁঠাল, জাম্বুরা ও আমগাছ সরকারি বিধি লঙ্ঘন করে কাটা হয়েছে। প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. ইফতেখারুল ইসলাম কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে গাছগুলো কেটে ফেলেছেন বলে সচেতন মহলের দাবি।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. ইফতেখারুল ইসলাম গাছ কাটার বিষয়ে কালবেলাকে বলেন, আমি অফিসের শোভাবর্ধনে ফুলের গাছ লাগাব বলে কিছু ডালপালা কেটেছি, কোনো কাঠজাতীয় গাছ কাটা হয়নি। তিনি ডালপালা কাটতে গিয়ে ভুলবশত ছোট কিছু গাছ কেটেছেন বলে স্বীকার করেছেন।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস চত্বরে আগের ও বর্তমান চিত্রে দেখা যায়, বেশকিছু বড় গাছের ডালপালাসহ আট থেকে ১০টি গাছ কর্তন করা হয়েছে, যা প্রাণিসম্পদ জেলা অফিস ও বন বিভাগ অবগত নয় বলে অফিস সূত্রে জানা গেছে।
তারাগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস চত্বর ঘুরে দেখা যায়, মেহগনি, কাঁঠাল, আম, জাম্বুরাসহ মোট আট থেকে ১০টি গাছ দৃশ্যত নেই। বেশকিছু গাছের মোটা ডাল কেটে গাছগুলোকে ন্যাড়া করা হয়েছে। এ ছাড়া অফিস চত্বরে আগের কর্তনকৃত সংরক্ষিত কাঠের গোলাই, অবৈধভাবে কাটা গাছ ও ডালপালাগুলো কোনো ধরনের নিলাম ছাড়াই বিক্রি করেছেন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা। যার আনুমানিক বাজার মূল্য লক্ষাধিক টাকা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন