খুলনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (৫ মার্চ) রাত পৌনে ১১টার দিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মারামারির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেখানে চাঁদার টাকা ভাগাভাগিকে কেন্দ্রে করে এ ঘটনা ঘটেছে বলে উল্লেখ ছিল।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে পুরোনো আওয়ামী লীগের অফিসের মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন খুলনা মহানগরীর যুগ্ম আহ্বায়ক মিরাজ ও রাকিবুল ইসলাম বনির মধ্যে হাতাহাতি হয়। পরে ছাত্ররা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে মারামারিতে লিপ্ত হয়। পুলিশ ও সেনা সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের খুলনা মহানগর আহ্বায়ক আল শাহরিয়ার জানান, একে অন্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেওয়াকে কেন্দ্র করে কিছুটা উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়েছে। চাঁদাবাজির ঘটনা উদ্দেশ্যমূলকভাবে প্রচার করা হচ্ছে। তারপরও ঘটনা তদন্তে মহানগর যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ মোহাম্মদ রুম্মানকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের ৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন খুলনা মহানগরের সদস্য সচিব জহুরুল তানভীরের বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে আরেক গ্রুপের নেতাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দুপুরে নগরীর শিববাড়ি মোড়ে ‘খুলনার সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ’-এর ব্যানারে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সদস্য সচিব বিভিন্ন সরকারি অফিস ও প্রতিষ্ঠানে লোক পাঠিয়ে চাঁদাবাজি করছে বলে আমরা অভিযোগ পেয়েছি। কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে তার বহিষ্কার এবং বিচারের দাবি জানাই। একইসঙ্গে ছাত্র পরিচয় দিয়ে সরকারি বেসরকারি অফিস, ব্যবসায়ীদের বাসা-বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চাঁদাদাবি করলে তাদের পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানান।
এ ব্যাপারে জহুরুল তানভীর বলেন, আবদুল্লাহ ও রাব্বি নামের নগর কমিটির দুই সদস্য সম্প্রতি সিটি কলেজের সাবেক ভিপি ছাত্রলীগ নেতা (বর্তমানে এনএসআইয়ে কর্মরত) বি এম মহিমের বাড়ি গিয়ে ১৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। তারা স্থানীয় বাসিন্দা হওয়ায় বিষয়টি সবাইকে জানালে ওই দুইজনকে নিষেধ করা হয়। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে।
মন্তব্য করুন