কুষ্টিয়ায় শহীদ আবরার ফাহাদ স্টেডিয়াম উদ্বোধন করেছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টায় কুষ্টিয়া জেলা স্টেডিয়ামে এসে আনুষ্ঠানিকভাবে শহীদ আবরার ফাহাদ স্টেডিয়ামের উদ্বোধন করেন তারা।
এ সময় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, আবরার ফাহাদ শুধু একটি নাম নয়, আবরার ফাহাদ হচ্ছেন আগ্রাসনবিরোধী সংগ্রামের চেইন। তাকে আজীবন স্মরণ করতে কুষ্টিয়া স্টেডিয়াম তার নামে নামকরণ করা হয়েছে। এই স্টেডিয়ামকে আরও আধুনিকায়ন করা হবে।
কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক তৌফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব রেজাউল মাকছুদ জাহেদী, যুগ্মসচিব আমিনুল ইসলাম, কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, উদ্বোধক আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন আবরার ফাহাদের মা রোকেয়া খাতুন। বক্তারা বুয়েটে আবরার ফাহাদের নৃশংস হত্যার বর্ণনা করেন।
এদিকে কুষ্টিয়ায় আধুনিক মানের স্টেডিয়াম উদ্বোধনকে ঘিরে জেলাজুড়ে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা গেছে। স্টেডিয়ামপাড়ায় সকাল থেকেই সব মানুষের ভিড় পরিলক্ষিত হয়।
এর আগে সকালে কুমারখালীর কয়া গ্রামে আবরার ফাহাদের কবর জিয়ারত করেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। পরে সেখানে আবরার ফাহাদের নামে নির্মিত মসজিদের সংস্কারকাজের উদ্বোধন করেন তিনি। এ ছাড়া দুপুরে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন এই উপদেষ্টা।
২০২২ সালের ১৩ জানুয়ারি প্রায় ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই স্টেডিয়ামের নির্মাণকাজের উদ্বোধন করা হয়। ৫ আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর শেখ রাসেল নাম পরিবর্তন করে শহীদ আবরার ফাহাদের নামে নামকরণ করা হয়।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অসম চুক্তি এবং পানি আগ্রাসন নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাসের জেরে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শেরেবাংলা হলের আবাসিক ছাত্র ও তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরারকে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে ছাত্রলীগের এক নেতার কক্ষে নিয়ে নৃশংস কায়দায় পিটিয়ে হত্যা করে সংগঠনটির ক্যাডাররা। পরে রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের সিঁড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনার পর হত্যা মামলায় বুয়েটের ২৫ জন শিক্ষার্থীকে অভিযুক্ত করে ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দেয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এরপর ২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। এর মধ্যে ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন