কথার ফাঁদে ফেলে রাজশাহীর বাগমারায় এক নারী গ্রাহকের কাছ থেকে ৬৮ হাজার টাকা নিয়ে উধাওয়ের দুদিন পেরিয়ে গেলেও প্রতারককে শনাক্ত বা গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।
এর আগে গত সোমবার সকালে বাগমারা সোনালী ব্যাংকের ভবানীগঞ্জ শাখায় ভেতর এ ঘটনা ঘটে। খাদিজা বেগম (৪৫) নামে এক গ্রাহকের কাছ থেকে জাল নোট বদলে দেওয়ার কথা বলে আসল নোটগুলো নিয়ে পালিয়ে যায় ওই প্রতারক।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই গ্রাহক থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। দুদিন পেরিয়ে গেলেও এখনো প্রতারকের পরিচয় শনাক্ত কিংবা তাকে আইনের আওতায় আনতে পারেনি পুলিশ।
পুলিশ, ভুক্তভোগী ও কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকালে ব্যাংকের ওই শাখায় টাকা উত্তোলনের জন্য যান খাদিজা। নিজের জমানো টাকা থেকে ৬৮ হাজার টাকা একটি চেকের মাধ্যমে তুলতে চান তিনি। এজন্য চেকটি নারী গ্রাহকদের বুথে জমা দেন। এ সময় তার পেছনে পরিপাটি অবস্থায় তিন ব্যক্তি ছিলেন। ব্যাংক থেকে টাকা বুঝে পাওয়ার পর ওই তিন ব্যক্তি তার কাছাকাছি আসেন।
এদের মধ্যে একজন নিজেকে ব্যাংকের লোক হিসেবে পরিচয় দিয়ে জানান, ভুলক্রমে তাকে জাল টাকা দেওয়া হয়েছে। সেগুলো পাল্টে আসল নোট দেওয়ার আশ্বাসে টাকাগুলো ওই নারীর কাছ থেকে নেন তারা। পাশের কাউন্টারে যাওয়ার কথা বলে তারা কৌশলে ব্যাংকের ভেতর থেকে দ্রুত সটকে পড়েন।
এ বিষয়ে ব্যাংকের ব্যবস্থাপক আনোয়ার হোসেন কালবেলাকে বলেন, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ওই প্রতারকের ছবি ও ফুটেজ দেওয়া হয়েছে। ব্যাংক তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করবে। ওই গ্রাহককে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বাগমারা থানার ওসি তৌহিদুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, ওই নারী ব্যাংক থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা তুলেছিলেন। এ সময় প্রতারকরা খাদিজাকে বলে আপনার কাছে বেশকিছু জাল টাকা গেছে। সেগুলো পরিবর্তন করতে হবে। এই বলে তারা ৬৮ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।
ওসি আরও বলেন, ওই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে প্রতারককে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে। এখনো তার পরিচয় পাওয়া যায়নি। এই বিষয়ে আমরা কাজ করছি।
মন্তব্য করুন