জয়পুরহাটের কালাইয়ে এক রাতে দুটি বাল্যবিয়ে বন্ধ করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামিমা আক্তার জাহান। সোমবার (০৩ মার্চ) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তিনি বিয়ে দুটি বন্ধ করে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে অর্থদণ্ড দেন।
একটি বিয়েতে বরকে জরিমানা গুনতে হয়েছে ১০ হাজার টাকা। অন্য বিয়েতে বরের বাবাকে জরিমানা দিতে হয় একই অঙ্কের টাকা। তাদের কাছ থেকে মুচলেকাও নেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
জয়পুরহাট সদরের ধারকি গ্রামের মৃত হাফিজার রহমানের ছেলে আবু হানিফের সঙ্গে কালাই পৌরসভার আকন্দপাড়ার পিতৃহীন এক অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ের (১৪) বিয়ের আয়োজন হয়েছিল কালাই সরকারি হাসপাতালের দক্ষিণ পাশের আওলাদ হোসেন তালুকদারের বাড়িতে। এমন খবরের ভিত্তিতে ইউএনও শামিমা আক্তার জাহান সেখানে উপস্থিত হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বরকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। আর মেয়ের মায়ের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেন।
অন্যদিকে উপজেলার মাত্রাই ইউনিয়নের কুসুমসারা হিন্দুপাড়া গ্রামে একটি সনাতন ধর্মের মেয়ের বাল্যবিয়ের আয়োজন হচ্ছে—এমন খবর পেয়ে সেখানে উপস্থিত হন ইউএনও। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে বরের বাবা অমূল্য চন্দ্রকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। মেয়ের বাবার কাছ থেকে মুচলেকা নেন।
ইউএনও শামিমা আক্তার জাহান বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় ২ ঘণ্টার মধ্যে দুটি বাল্যবিয়ের সংবাদ আসে। পরে আয়োজনগুলোয় উপস্থিত হয়ে বিয়ে বন্ধ করে দিয়েছি। ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে বরপক্ষগুলোকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছি। আর ১৮ বছর হওয়ার আগে মেয়েকে বিয়ে দেওয়া যাবে না—এমন মুচলেকা নেওয়া হয়েছে কন্যাপক্ষের কাছ থেকে। এরপরও আইন অমান্য করে বিয়ের ব্যবস্থা করা হলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন