বৃহস্পতিবার, ০৬ মার্চ ২০২৫, ২২ ফাল্গুন ১৪৩১
হাদিউল হৃদয়, তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ)
প্রকাশ : ০৫ মার্চ ২০২৫, ১২:৪৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

সিরাজগঞ্জে হস্তান্তরের আগেই নতুন স্কুল ভবনে ফাটল

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ‘উপর সিলট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের’ নতুন ভবন। ছবি : কালবেলা
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ‘উপর সিলট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের’ নতুন ভবন। ছবি : কালবেলা

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ‘উপর সিলট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের’ নতুন ভবনের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে প্রায় ছয় মাস আগে। এরই মধ্যে দোতলা ভবনটির বিভিন্ন অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে। যে কোনো সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। তাই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এ ভবন হস্তান্তর করতে চাইলেও রাজি হচ্ছে না স্কুল কর্তৃপক্ষ। ৯০ লাখ ৭০ হাজার ৪৭৫ টাকায় নির্মিত ভবনটি এখন অলস পড়ে আছে।

বিষয়টি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে একাধিকবার জানানো হলেও তা আমলে নিচ্ছে না তারা। ‘মেরামত করে দেব, দিচ্ছি করে’ কালক্ষেপণ করা হচ্ছে। ২০২৩ সালে প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় তালম ইউনিয়নে উপর সিলট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন নির্মাণকাজ শুরু করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। ৯০ লাখ ৭০ হাজার ৪৭৫ টাকার কাজটি পায় উল্লাপাড়ার রাতুল এন্টারপ্রাইজ। ওই বছরের মাঝামাঝি সময়ে ভবন নির্মাণকাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

স্থানীয়দের অভিযোগ, শুরু থেকেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করে। এ নিয়ে এলাকাবাসী, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও শিক্ষকরা মৌখিকভাবে মানসম্মত নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের অনুরোধ জানালেও তা আমলে নেওয়া হয়নি। তাই কাজ শেষ না হতেই ভবনের পিলার, ছাদ, দেয়াল, মেঝে ও বেলকনির বিভিন্ন অংশে ফাটল ধরে।

গত বছরের ২৮ আগস্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রাতুল এন্টারপ্রাইজ নতুন ভবনটি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করতে চাইলে প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম সম্মত হননি। বিষয়টি তিনি জানান উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুসাব্বির হোসেনকে।

উপর সিলট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রিফা পারভীন, সাকিবুল, শারমীন, সুমাইয়া খাতুন ও খাদিজা খাতুন বলেছে, নতুন ভবনটিতে ফাটল ধরেছে। তাই সেখানে স্যাররা ক্লাস নেন না। পুরোনো ভবনেই ক্লাস নেন।

স্কুলটির প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম বলেন, পুরো ভবন নির্মাণেই নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার হয়েছে। তাই পিলার, ছাদ, ওয়াল, মেঝে ও বেলকনিতে ফাটল ধরেছে। নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারে বাধা দেওয়া হয়েছে। এমনকি কিছু সময় কাজ বন্ধও ছিল। বিষয়টি একাধিকবার এলজিইডির তদারকি কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। তার পরও নির্মাণকাজ চলেছে। তাই ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ভবনটি বুঝে নিতে সাহস পাচ্ছি না।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুসাব্বির হোসেন বলেন, প্রধান শিক্ষক বিষয়টি জানিয়েছেন। তাকে ভবনের ত্রুটির বিষয়ে লিখিত জানাতে বলা হয়েছে।

উপসহকারী প্রকৌশলী তরিকুল ইসলাম বলেন, ভবনের ফাটল ধরা স্থানগুলো মেরামত করে দেবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

রাতুল এন্টারপ্রাইজের ঠিকাদার অলক হাসান বলেন, ভবনে ফাটল থাকলে তা মেরামত করে দেওয়া হবে।

আর তাড়াশ উপজেলা প্রকৌশলী ফজলুল হক বলেন, বিষয়টি সরেজমিনে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জবিতে মধ্যরাতে ছাত্রীদের বিক্ষোভ

একটি গোষ্ঠী স্বৈরাচারী মনোভাব নিয়ে কথা বলছে : আমিনুল হক

আধা ঘণ্টার ব্যবধানে প্রক্টর অফিস থেকে মিল্টন-জন উধাও

ওয়ানডে অধ্যায়ের ইতি টানলেন মুশফিক

রাজশাহীর ইফতারে শাহী ফিরনি ও বাটার মোড়ের জিলাপি

‘মেইড ইন পাকিস্তান’ লেখা অস্ত্রসহ যুবক গ্রেপ্তার

সিলেটে পাঁচ গ্রামের সংঘর্ষে আহত ২০

গাজীপুরে ঝুট গুদামে আগুন

মেয়েকে খুন্তির ছ্যাঁকা দিলেন মা, গাছে বেঁধে পেটালেন বাবা

ধুমপান নিষিদ্ধের দাবিতে রাজধানীতে নারীদের মশাল মিছিল

১০

প্রোটিয়াদের হারিয়ে ফাইনালে কিউইরা

১১

দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে শিক্ষা অফিসারের বদলি

১২

‘নির্বাচিত সরকার আসতে বিলম্ব হলে সংকটে পড়বে দেশ’

১৩

দুদিনেও গ্রেপ্তার হয়নি প্রতারক

১৪

আইনি নোটিশ দিয়ে সাংবাদিকতা ছাড়লেন ভ্যানচালক

১৫

মোবাইল ব্যাংকিংয়ে ৩ মাসে ২২ লাখ টাকার লেনদেন, অতঃপর...

১৬

ইবির পাঁচ স্থাপনার নাম পরিবর্তন, বিতর্ক

১৭

অ্যাডভোকেট মাসুদ তালুকদারের দলীয় সব পদ স্থগিত

১৮

রাবির ভর্তি পরীক্ষা বিভাগীয় শহরে

১৯

পদ্মা সেতুর ভূমি অধিগ্রহণে অনিয়ম, ২৩ জনের নামে মামলা

২০
X