নাজিরপুর-বৈঠাকাটা ১৭ কিলোমিটার সড়কের কাজ না করে ফেলে রাখায় বেশিরভাগ জায়গায় পিচ-খোয়া উঠে সৃষ্টি হয়েছে খানাখন্দ। ফলে এ সড়কে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। সীমাহীন কষ্ট ভোগ করছে এ পথে চলাচলকারী হাজারো মানুষ। পুরো কাজ না করে ঠিকাদার প্রায় অর্ধশত কোটি টাকা তুলে নিয়ে চম্পট দিয়েছে। ফলে সড়কটি নির্মাণে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।
প্রতিদিন ভাঙা সড়ক দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে শত শত যানবাহন ও হাজারো মানুষ। নাজিরপুর উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা এটি। জেলার সবচেয়ে বড় ভাসমান সবজির বাজার বৈঠাকাটা যাওয়ার একমাত্র সড়ক এটি। নিরুপায় হয়ে এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন এ পথে চলাচলকারীরা। ফলে দুর্ঘটনা এখানকার মানুষের নিত্যসঙ্গী।
মেসার্স ইফতি ইটিসিএল নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ৪টি প্যাকেজে প্রায় ৪৪ কোটি টাকা চুক্তি মূল্যে রাস্তাটির কাজ পায়, যা গত বছরের জুনে শুরু হয়ে চলতি বছরের জুন মাসে শেষ হওয়ার কথা; কিন্তু ক্ষমতার অপব্যবহার করে এখন পর্যন্ত কাজ শুরু না করেই এলজিইডির কর্মকর্তাদের সহায়তায় উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে বরাদ্দকৃত পুরো অর্থ। সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে জরুরি প্রয়োজনে অ্যাম্বুলেন্স বা অন্যান্য গাড়িও এখানে আসতে চায় না বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
স্থানীয় বাসিন্দা দিদার শেখ বলেন, ৫-৬ বছর ধরে রাস্তাটি এভাবে ফেলে রাখা হয়েছে। শুনেছি কাজ না করে ঠিকাদার টাকা উঠিয়ে নিয়েছে, যার কারণে কাজ হচ্ছে না। শুধু দেখেছি তিন-চার বছর আগে রাস্তার পাশে শুধু সাদা রং করেছে। এরপর আর কোনো কাজ হয়নি। তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেতারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে এসব করেছে। যার কারণে এখন আমরা দুর্ভোগে আছি। আমাদের দাবি শিগগিরই কাজ শুরু করে জনগণের দুর্ভোগ লাঘব করা হোক।
এ বিষয়ে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী রণজিত দে বলেন, কাজটি শেষ করার জন্য ঠিকাদারের সঙ্গে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা চলছে। জনসাধারণের দুর্ভোগ লাঘবে গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কের কাজ দ্রুত শুরু করা হবে।
অভিযোগের বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স ইফতি ইটিসিএলের কোনো প্রতিনিধির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কাউকে পাওয়া যায়নি।
মন্তব্য করুন