ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে এসে স্ত্রী যুঁথি আক্তার ও তার ছোট বোন স্মৃতি আক্তারকে বালিশচাপা দিয়ে হত্যার অভিযোগে সামিউল ইসলাম নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে চট্টগ্রামের বাকলিয়া এলাকা থেকে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তার সামিউল ইসলাম কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার জামতলি গ্রামের জাকির হোসেনের ছেলে। নিহত যুঁথি আক্তার ও স্মৃতি আক্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের ধজনগর গ্রামের মৃত রওশন আলীর মেয়ে। স্মৃতি আক্তার স্থানীয় লিয়াকত আলী উচ্চবিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সামিউল ইসলামের সঙ্গে দেড় বছর আগে যুঁথি আক্তারের বিয়ে হয়। স্বামীর বাড়িতেই থাকতেন যুঁথি আক্তার। যুঁথি আক্তারের বাবা রওশন আলী মারা গেছেন। তার মা একটি মামলায় কারাগারে থাকায় বাড়িতে থাকেন যুঁথি আক্তারের ছোট বোন স্মৃতি আক্তার, ছোট ভাই জাহিদ হোসেন। অন্যদিকে বড় ভাই সৌদি আরবে থাকেন।
রোববার (২ মার্চ) যুঁথি আক্তার তার স্বামী আমির হোসেনকে নিয়ে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। রাতের খাবার শেষে যুঁথি আক্তার ও তার ছোট বোন স্মৃতি আক্তার ঘরের একটি কক্ষে এবং আমির হোসেন ও তার শালা জাহিদ হোসেন একটি কক্ষে ঘুমিয়ে ছিলেন।
গভীর রাতে জাহিদ ঘুম থেকে জেগে তার দুলাভাইকে দেখতে পায়নি। ঘরের দরজা খোলা ছিল। পাশের কক্ষে তার দুই বোন অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে আছেন। এ সময় জাহিদ চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন দৌড়ে এসে যুঁথি ও স্মৃতির মরদেহ দেখতে পায়।
কসবা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রিপন কুমার দাশ বলেন, স্ত্রী ও শ্যালিকাকে হত্যার ঘটনায় আসামি নিহত যুঁথি আক্তারের স্বামী সামিউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে চট্টগ্রামের বাকলিয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। চট্টগ্রাম থেকে কসবা থানায় তাকে নিয়ে আসা হচ্ছে। সেখানে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে পাঠানো হবে।
মন্তব্য করুন