রংপুরে পার্ক নিমার্ণে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রংপুর মহানগর কমিটির মুখপাত্র নাহিদ হাসান খন্দকারের চাঁদা দাবি করার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর তার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে সেই পার্কের মালিক। তবে পার্কের মালিক আতিকুল ইসলাম ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে তার ভাই জমি দখলের অভিযোগ তুলেছেন।
সোমবার (০৩ মার্চ) বিকেলে নগরীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আতিকুল ইসলাম ভূঁইয়া দাবি করেন, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রংপুর মহানগর কমিটির মুখপাত্র নাহিদ হাসান খন্দকারের নেতৃত্বে এক লাখ টাকা নগদ ও প্রতিদিন বিশ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। কিন্তু টাকা না দিয়ে চাঁদা চাওয়ার ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ায় তাকে ফোনে প্রতিনিয়ত ভয় ভীতি প্রদান করছেন। নিরাপত্তা শঙ্কায় ওই নেতার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান তিনি।
এর আগে গতকাল চাঁদাবাজির অভিযোগ ওঠা বৈষম্যবিরোধী নেতার পক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেছেন আজহারুল ইসলাম ভূঁইয়া নামে এক ব্যক্তি। তিনি পার্কের মালিক আতিকুল ইসলাম ভূঁইয়ার ভাই। তার অভিযোগ, ওই পার্কে তার ৪ একর ৫৯ শতাংশ জমি আছে। জমিটি দীর্ঘদিন তার দখলে থাকলেও ২০১৯ সালে তার ভাই আতিকুল ইসলাম ও মঞ্জুরুল ইসলাম গং জাল রিটের মাধ্যমে তার ৪ একর ৫৯ শতক জায়গা দখল করে। আদালত জমির ওপরে ১৪৪ ধারা জারি করেন।
আজহারুল ইসলাম দাবি করেন, তিনি ও তার স্ত্রীর জাল স্বাক্ষরে ওই জমির লিজ চুক্তি কাগজ বানিয়েছে। এটা পরবর্তীতে সিআইডির তদন্তে জালিয়াতি প্রমাণিত হয়। কিন্তু রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক প্রভাব খাটিয়ে তার ভাইয়েরা জমি থেকে বালু উত্তোলন করে আসছে।
তবে আতিকুল ইসলাম বলেন, এই মামলার রায়ে তারা নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন। রায়ের বিরুদ্ধে তার ভাই আপিল করেছেন। ওই পার্ক এলাকা ঘিরে দীর্ঘদিন থেকে বালু তুলে বিক্রি করার অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইকো পার্ক মৎস্য চাষের জন্য পুকুর খনন করা হয়েছে। অবৈধভাবে কারও জমি থেকে বালু উত্তোলন করা হয়নি।
পার্কের মালিক আতিকুল ইসলাম ভূঁইয়ার সংবাদ সম্মেলনের বিষয়টি নিয়ে নাহিদ হাসান খন্দকারের কাছে মন্তব্য জানতে চাওয়া হলে তিনি মিডিয়াতে কথা না বলতে সংগঠনের নির্দেশনা দেওয়া আছে বলে জানান।
মহানগর আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহমেদ ইমতি বলেন, সংগঠন থেকে তাকে মিডিয়ায় বক্তব্য দিতে নিষেধ করেছে। এ বিষয়ে প্রেস রিলিজে জানিয়ে দেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন