পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বর্তমান সচিব ও সাতক্ষীরার সাবেক জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসানের গ্রেপ্তারের দাবিতে সাতক্ষীরা মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (০৩ মার্চ) বেলা ১২টায় জেলা প্রশাসকের কার্যলয়ের সামনে খুন, গুম ও হয়রানির শিকার ভুক্তভোগী পরিবারের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
এতে কয়েক শত ভুক্তভোগী ও পরিবারের সদস্য অংশগ্রহণ করেন। মানববন্ধনে নাজমুল আহসানের বিরুদ্ধে অবৈধ নির্বাচন, খুন, গুমে অংশ নেওয়াসহ নানা অপকর্মের অভিযোগ তুলে তাকে গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ২০১৩-১৪ সালে সাতক্ষীরায় পুলিশের গুলিতে অর্ধশতাধিক জামায়াত ও বিএনপির নেতাকর্মী হত্যার শিকার হয়। যার নেপথ্যে ছিলেন তৎকালীন পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির ও ডিসি নাজমুল আহসান। স্বৈরাচার শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর তার আস্থাভাজন পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির দেশ থেকে পালিয়ে যায়। তবে বহাল তরবিয়াতে আছেন হাসিনার অবৈধ নির্বাচন ও খুন গুমে অংশ নেওয়া পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বর্তমান সচিব নাজমুল আহসান।
বক্তারা বলেন, নাজমুল আহসানের সময়ে শুধু সাতক্ষীরা জেলাতেই রাজনৈতিক সহিংসতায় ৪৩ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে যৌথবাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছেন ২৭ জন। এদের সবাই স্থানীয় বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল, জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মী। এ ছাড়া আরও ২৫ জন নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ এবং আহত হয়েছেন কয়েক শতাধিক ব্যক্তি। তার নেতৃত্বে যৌথবাহিনীর বিচারবহির্ভূত এসব হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সাতক্ষীরার নাগরিকদের মধ্যে এখন চরম আতঙ্ক বিরাজ করে। রাত শুরু হলেই আতঙ্কে বিভিন্নস্থানে চলে যেত নারীরাও। প্রতি রাতেই ঘটছে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটত। আগুন ও বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হতো বিএনপি জামায়াতের নেতাকর্মীদের বাড়ি ঘর।
মনববন্ধনে অবিলম্বে সাতক্ষীরার সাবেক জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসানকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় না আনলে সাতক্ষীরায় কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা। মানববন্ধন শেষে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদের কাছে নাজমুল আহসানের শাস্তির দাবিতে স্মারকলিপির প্রদান করেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, খোরশেদ আলম, আবুল গফুর, ফখরুল হাসান, শহর আলি প্রমুখ।
মন্তব্য করুন