রাস্তায় ঘুরছে বিশালদেহী হাতি। সেই হাতির পিঠে বসা মাহুত। মাহুতের নির্দেশেই এক পথচারী থেকে আরেক পথচারী ও এক দোকান থেকে আরেক দোকানের সামনে যাচ্ছে হাতিটি। এরপর শুঁড় সোজা এগিয়ে দিচ্ছে কাছে। শুঁড়ের মাথায় টাকা গুঁজে না দেওয়া পর্যন্ত শুঁড় সরাচ্ছে না হাতিটি।
এভাবেই অভিনব কৌশলে হাতি দিয়ে চলছে চাঁদাবাজি। এতে স্থানীয় পথচারী, গাড়িচালক ও ব্যবসায়ীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
সোমবার (৩ মার্চ) বিকেল ৪টার দিকে জামালপুরের মাদারগঞ্জ পৌরশহরের বিভিন্ন বাজারে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, হাতি দিয়ে টাকা তুলছেন মাহুত। সর্বনিম্ন ১০ টাকা থেকে শুরু করে পথচারী, গাড়ি ও দোকানির ধরন অনুযায়ী ৫০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে চাঁদা। বালিজুড়ী বাজারে ইফতারের একটি দোকানে হাতি এসে শুঁড় এগিয়ে দিল। সঙ্গে সঙ্গে দোকানদার ১০ টাকা হাতিটির শুঁড়ে গুঁজে দিলেন।
টাকা দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে ওই দোকানদার বলেন, ‘টাকা না দিলে যাবে না। এ ছাড়া দেরি হলে অনেক সময় ঝামেলা হয়। আমরা নিরুপায় হয়ে টাকা দেই।’
কাউসার নামে এক মোটরসাইকেলচালক বলেন, এভাবে হাতি দিয়ে চাঁদা তুলতে সড়কে যানজট ও বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। হাতি দিয়ে এভাবে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
টাকা নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে হাতির পিঠে বসে থাকা মাহুত বলেন, ‘হাতির ভরণপোষণের জন্য সবাই খুশি হয়ে কিছু টাকা দেয়।’ টাকা নেওয়ার নিয়ম আছে কিনা জানতে চাইলে কোনো জবাব দেননি সেই মাহুত।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাদির শাহ নাদির বলেন, হাতি বা বন্যপ্রাণী ব্যবহার করে সড়কে চাঁদাবাজি করার সুযোগ নেই। এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেব।
মন্তব্য করুন