বিল-ভাউচার ছাড়া ভ্রমণব্যয় তোলার অভিযোগে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযানে ভুয়া ভ্রমণ বিল উত্তোলনের প্রাথমিক প্রমাণ পেয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
রোববার (২ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রাম বিভাগীয় রেলওয়ের কার্যালয়ে এই অভিযান চালানো হয়। এ সময় অভিযোগ-সংক্রান্ত রেলের বেশ কিছু নথিপত্র জব্দ করা হয়।
দুদক কর্মকর্তারা জানান, সম্প্রতি রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে বিল-ভাউচার ছাড়া প্রায় সাড়ে ১০ লাখ টাকা ভ্রমণ ব্যয় তুলে নেওয়ার একটি অভিযোগের ভিত্তিতে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযানে তারা রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল, চট্টগ্রামের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তার কার্যালয়, প্রধান হিসাব কর্মকর্তার কার্যালয় ও বিভাগীয় সংস্থাপন কর্মকর্তার কার্যালয়ে বিভিন্ন নথিপত্র যাচাই-বাছাই করেন এবং কিছু নথি জব্দ করেন।
অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া দুদকের সমন্বিত চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়-১-এর সহকারী পরিচালক সায়েদ আলম জানান, ভাউচার না পেলেও রেজিস্ট্রার খাতায় ভ্রমণ বিল তোলা হয়েছে, এমন প্রমাণ পাওয়া গেছে। আমরা বিভিন্ন নথিপত্র দেখেছি। নানা জায়গায় অসঙ্গতি পেয়েছি। সব নথিপত্র যাচাই-বাছাই শেষে আমরা দ্রুত পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দেব।
প্রসঙ্গত, কোনো প্রকার বিল-ভাউচার ছাড়াই প্রায় সাড়ে ১০ লাখ টাকার ভ্রমণ ব্যয় তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বাণিজ্যিক বিভাগের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। ২০২৪ সালের ১ ডিসেম্বর এমন অসঙ্গতি ধরা পড়ে পরিবহন অডিট অধিদপ্তরের এএন্ডএও ও উপদলনেতা আনোয়ার হোসেনের অডিটে। এ ব্যাপারে তিনি একটি অডিট আপত্তি জানান।
আনোয়ার হোসেনের করা অডিট আপত্তি থেকে জানা যায়, বাংলাদেশ রেলওয়ের, বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা, পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম দপ্তরের ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ভ্রমণ বিল ব্যয় করা হলেও এ-সংক্রান্ত ভাউচার না পাওয়ায় সরকারের ১০ লাখ ৫৬ হাজার ৮৬৮ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
নিরীক্ষাকালে পর্যালোচনায় দেখা যায়, রেলওয়ের বাণিজ্যিক বিভাগের বেশ কিছু কর্মকর্তা বিভিন্ন সময়ে প্রায় সাড়ে ১০ লাখ টাকা উত্তোলন করেছেন। তবে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে এ-সংক্রান্ত কোনো রেকর্ড সংরক্ষণ করা হয়নি, এমনকি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের বিল পাসিং রেজিস্ট্রারেও বিলের কোনো এন্ট্রি বা তথ্য পাওয়া যায়নি।
মন্তব্য করুন