বগুড়ার শেরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বগুড়া জেলা অ্যাডভোকেটস্ বার সমিতির সাবেক সভাপতি গোলাম ফারুকের জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
রোববার (০২ মার্চ) দুপুরে বগুড়ার জেলা দায়রা জজ আদালতে সিনিয়র দায়রা জজ শাহজাহান কবির জামিনের আবেদন শুনানি শেষে না মঞ্জুর করে ওই আদশ দেন।
এর আগে অ্যাড. গোলাম ফারুক শেরপুর থানা বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে মারধরসহ বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের অভিযোগ এনে দায়ের মামলায় হাইকোর্টের আদেশের আলোকে জেলা দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন জানান।
জানা গেছে, গত ২৮ সেপ্টেম্বর বগুড়ার শেরপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মিন্টু বিস্ফোরক আইনে মামলা করেন। এতে শেরপুর থানার সাবেক এমপি হাবিবুর রহমান ও তার ছেলে আসিফ ইকবাল সনি, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনু, শেরপুর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি তরিকুল ইসলাম তারেক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক ও সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদসহ ১৪১ জন আওয়ামী লীগের ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের আসামি করে মামলা করেন।
মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয় যে, ২০২৩ সালের ১৫ নভেম্বর বিএনপির অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শেরপুর খেজুরতলা উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ের পশ্চিম পাশে আসামিরা হামলা চালিয়ে ককটেল বিস্ফোরণ, গুলি ছুড়ে এবং মারধর করে বিএনপির নেতা ও কর্মী সোহাগ, মো. শান্ত, সুমন সরকার, নিতাই চন্দ্র দাস, রবিন খানকে আহত করে।
এ সময় বিএনপির দলীয় কর্যালয়ে হামলা করে চেয়ার-টেবিলসহ অন্যান্য মালামাল ভাঙচুর করে এক লাখ টাকার ক্ষতি করে। আহতদের শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা করানো হয়।
মন্তব্য করুন