ভোলার মনপুরায় মেঘনা নদীতে দুই মাস সব ধরনের মাছ শিকারে সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকলেও মানছেন না জেলেরা। প্রতিনিয়ত শত শত নৌকা নিয়ে মেঘনায় অবাধে মাছ শিকার করছেন জেলেরা। এতে মাছ প্রজনন ও বংশ বিস্তার ব্যাহত হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসনের উদাসীনতা ও মেঘনায় অভিযান পরিচালনা না করায় জেলেরা অবাধে মাছ শিকার করছে বলে অভিযোগ স্থানীয় জেলে ও মৎস্য আড়তদারদের।
জানা গেছে, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেঘনায় অবাধ মাছ শিকার বন্ধ করতে আগামীকাল সোমবার (৩ মার্চ) থেকে অভিযান পরিচালনা করবেন।
শনিবার ও আজ (রোববার) উপজেলার রামনেওয়াজ, হাজিরহাট, দাসেরহাট, মাস্টারহাট, লতাখালি, জনতা ও কোড়ালিয়া মৎস্য ঘাট সংলগ্ন মেঘনায় গিয়ে দেখা গেছে, জেলেরা নৌকা নিয়ে মাছ ধরছেন অবাধে। এছাড়া নিষিদ্ধ বেহুন্দি বসিয়ে মাছ ধরছেন জেলেরা। আবার জেলের জালে ধরা জাটকা, ছোট ছোট পাঙ্গাশের পোনা অবাধে বিক্রি করছে মৎস্য আড়ত ও হাট-বাজারে।
মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, ১ মার্চ (রোববার) রাত ১২টা থেকে আগামী ৩০ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে জাটকাসহ সব ধরনের মাছ ধরায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও জাটকাসহ সব ধরনের মাছ পরিবহন, বিক্রি ও সংরক্ষণ নিষেধ করা হয়েছে।
স্থানীয় কামাল, জামাল, হাসান, ইব্রাহীম, রফিক, আলাউদ্দিনসহ একাধিক জেলে জানান, প্রতি বছর এই সময়ে মেঘনায় প্রশাসনের অভিযানের কারণে জেলেরা মেঘনায় মাছ শিকার করত না। এ বছর মেঘনায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান পরিচালনা না করায় অবাধে মাছ শিকার করছেন জেলেরা।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কামাল হোসেন জানান, অফিসের কাজে ভোলায় আছি। সোমবার মনপুরায় এসে মেঘনায় অভিযান পরিচালনা করা হবে। এছাড়াও আজ মেঘনায় অভিযান পরিচালনা অব্যাহত আছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) লিখন বনিক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, মৎস্য অফিসার না থাকায় মেঘনায় অভিযান পরিচালনা করা হয়নি। তিনি (মৎস্য অফিসার) সোমবার এলেই মেঘনায় অভিযান পরিচালনা করা হবে।
মন্তব্য করুন