খুলনার পাইকগাছায় সরকারি নিয়মনীতি উপেক্ষা করে পরিচালিত সব ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
রোববার (২ মার্চ) সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দপ্তরে অনুষ্ঠিত সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীন এ নির্দেশনা প্রদান করেন।
ওই সভায় উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের সরকারি কর্মকর্তা, সকল ভাটা মালিক ও তাদের প্রতিনিধি এবং রাজনৈতিক দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, লাইসেন্স ও পরিবেশের ছাড়পত্র ছাড়াই যথেচ্ছা ইটভাটা স্থাপন করা হয়েছে। পুড়ানো হচ্ছে কাঠ, কৃষিজমি ও নদী থেকে কাটা হচ্ছে মাটি। উপজেলার চাঁদখালী, গদাইপুর, রাড়ুলী ও হরিঢালীতে বর্তমান ১৩টি ইটভাটা কৃষি জমিতে অবস্থিত। এরমধ্যে একটি ইটভাটার বৈধ কাগজপত্র আছে। তবে ১২টি ভাটার কোনো বৈধতা নেই।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীন বলেন, আজ (রোববার) থেকে অবৈধ ইটভাটা বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। চলতি সপ্তাহে অবৈধ ইটভাটাগুলো বন্ধ না করলে ধ্বংস করা হবে।
পাইকগাছায় স্থাপিত ভাটাগুলো হলো- হরিঢালীর মাহবুবুর রহমান রঞ্জুর যমুনা ব্রিকস ১ ও ২, গদাইপুর মুজিবুর রহমানের ফাইভ স্টার, ফতেমা রহমানের এফএফবি, চাঁদখালীর নাজমুল হুদা মিথুনের এসএমবি, মহিউদ্দিন খানের বিএকে, বাদশার খানের খান ব্রিকস, মুনছুর গাজীর এস এম ব্রিকস, আব্দুল হালিমের স্টার ব্রিকস, আব্দুল মান্নান গাজীর বিবিএম ব্রিকস, আব্দুল জলিলের এডিবি ব্রিকস, শাহাজাদা ইলিয়াসের এমএসবি ব্রিকস, সিরাজুল ইসলামের এসবিএম ব্রিকস, শফিকুল ইসলামের এমবিএম ব্রিকস।
এদিকে রাড়ুলী ইউনিয়নে মিনারুল ইসলাম ও ডালিম সরদারের ইটভাটা তালা থানার সীমান্তে থাকায় এ ব্যাপারে পাইকগাছা উপজেলা প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছে না। তবে তালা উপজেলা প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানা গেছে।
মন্তব্য করুন